জুটশিল্পে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, কর্মসংস্থানের নয়া উদ্যোগ রাজ্যের
প্রশিক্ষণ শেষে কাজে ঢুকলে কর্মী হিসেবে বেতন হবে ৩৭০ টাকা প্রতিদিন।
Authored By:

জুটশিল্পে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য কর্মসংস্থানের নতুন উদ্যোগ নিল রাজ্য। বাংলার চটশিল্পকে ঘুরে দাঁড় করানোর জন্য একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সাক্ষর, শারীরিকভাবে সক্ষম ও এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে নথিভুক্ত কর্মপ্রার্থীদের জুটমিলে চাকরির উদ্দেশ্যে নব্বই দিনের বৃত্তিমূলক দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সের প্রার্থীরা এই বৃত্তি পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রশিক্ষণরত বেকার যুবক-যুবতীদের প্রথম ৪৫ দিন দৈনিক ২০০ টাকা ও পরবর্তী ৪৫ দিন ২৫০ টাকা করে দেওয়া হবে।
পাটশিল্প পশ্চিমবঙ্গের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী শিল্প। বর্তমানে কয়েক লক্ষ মানুষ এই শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত। একদিকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার চটের ব্যাগের পরিবর্তে সিন্থেটিক ব্যাগ ব্যবহারে জোর দেওয়ায় চটশিল্পের বিপদ বাড়ছে।
তাছাড়া চটশিল্পগুলো দক্ষ কর্মীর অভাবে দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের চটনীতির যেমন লাগাতার বিরোধিতা করছেন, তেমনই বাংলার চটশিল্পকে বাঁচাতে দক্ষ কর্মী তৈরির উপর জোর দিচ্ছেন। প্রশিক্ষণকারীদের ৯০ দিন জুটমিলে বৃত্তিসহ থিওরিটিক্যাল ও প্র্যাকটিকাল প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ চলাকালীন জুটমিলগুলি বিনামূল্যে থাকা ও খাওয়া বাবদ ৮০ টাকা করে প্রশিক্ষণরতদের দেবে। প্রশিক্ষণরত প্রার্থীরা যে চটকলগুলোতে প্রশিক্ষণ নেবেন, সেখানে তাঁদের কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। প্রশিক্ষণ শেষে কাজে ঢুকলে কর্মী হিসেবে বেতন হবে ৩৭০ টাকা প্রতিদিন।