সংসদে কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে, সরব বিরোধীরা
লোকসভার ধাঁচেই রাজ্যসভাতেও সরকারকে কোণঠাসা করতে একজোট বিরোধীরা।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ‘সংসদে কেন বিরোধী দলনেতাকে বলতে দেওয়া হচ্ছে না! এই অভিযোগে সোচ্চার বিরোধীরা। রাহুল গান্ধী একা নন। সংসদে বিরোধীরা বলতে গেলেই মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়, অভিযোগ তুলে শুক্রবার লোকসভায় সরব হয় বিরোধীরা।
এদিন প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষ হতেই এদিন বেলা ১২টা নাগাদ উঠে দাঁড়ান কংগ্রেসের উপ দলনেতা গৌরব গগৈ। তিনি বলেন, ‘সংসদে কেন বিরোধী দলনেতাকে বলতে দেওয়া হচ্ছে না? স্পিকারের নেতৃত্বে কার্য উপদেষ্টা কমিটিকে অন্ধকারে রেখে কেন সভার নেতা (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী) এসে বিবৃতি (কুম্ভমেলা নিয়ে) দিয়ে চলে যাচ্ছেন? বিরোধীরা কিছু বলতে গেলে হয় মাইক অন করা হচ্ছে না, না হলে মাইক বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।’ গগৈকে সমর্থন করেন সমাজবাদী পার্টির ধর্মেন্দ্র যাদব। অভিযোগ, এদিন বক্তব্য রাখার সময় কথা শেষ হওয়ার আগেই লাল আলো জ্বলা মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে ‘দ্য ইন্ডিয়ান পোর্ট বিল ২০২৫’ বিল পেশে আপত্তি জানানোর সুযোগ পেয়ে মাইক অন হতেই কংগ্রেস মণীশ তিওয়ারি উঠে দাঁড়ান। তখনই বিরোধীদের খোঁচা দিতে স্পিকার বলেন, ‘মণীশজি আপনার দলের সাংসদদের বোঝান মাইক কী করে অন হয়?’ পাল্টা জবাব দেন প্রাক্তন তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী মণীশ তিওয়ারিও। বলেন, ‘স্পিকার সাহেব, আপনিই বলুন না কী করে মাইন অন হয়!’
লোকসভার ধাঁচেই রাজ্যসভাতেও সরকারকে কোণঠাসা করতে একজোট বিরোধীরা। রাজনৈতিক সূত্রে খবর, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকারের ডাকা কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে তা বুঝিয়ে দেন বিরোধীরা। দাবি করেন, ভুয়ো ভোটার কার্ড ইস্যুতে সংসদে আলোচনা করতেই হবে। ‘এপিক’ শব্দটি নিয়ে আপত্তি থাকলে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও শব্দ ব্যবহার করলেও বিরোধীদের আপত্তি নেই বলেও জানানো হয়। দাবি একটাই, ভুয়ো ভোটার কার্ড ইস্যুতে আলোচনা। কিন্তু সরকার রাজি না হওয়ায় এদিন কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিরোধীরা। কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ, তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েনরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সরকার যদি আমাদের দাবি না মানে, তাহলে বিরোধীরাও বিল পাশ করতে দেবে না।