রাজ্যে ভোটার-শুনানি শুরু ২৭ ডিসেম্বর! কোথায় হবে, কাদের ডাকা হবে – চূড়ান্ত প্রস্তুতি কমিশনের
Authored By:

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৯:৪২: আগামী ২৭ ডিসেম্বর, শুক্রবার থেকেই রাজ্যে শুরু হতে চলেছে ভোটারদের শুনানি পর্ব। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) নির্দেশে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (CEO)-র দপ্তর ইতিমধ্যেই সেই প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছে। মূলত ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR)-এর লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ।
কমিশন সূত্রে খবর, ২০০২ সালের ভোটার তালিকার (Voter list) সঙ্গে বর্তমান তালিকার শুনানির প্রথম পর্যায়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে তাঁদেরই যে সমস্ত ভোটারের তথ্যের কোনও ‘ম্যাপিং’ বা মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। রাজ্যে বর্তমানে এমন ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৩০ লক্ষ। ইতিমধ্যেই কমিশনের পক্ষ থেকে ১০ লক্ষ ভোটারকে শুনানির জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছে।
শুনানি প্রক্রিয়া কোথায় চলবে, সেই জায়গাও স্থির করে ফেলেছে কমিশন। সিইও দপ্তর (CEO Office) সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সরকারি অফিস এবং কলেজ বিল্ডিংয়ে ভোটারদের শুনানি হবে। জেলাগুলির ক্ষেত্রে শুনানি হবে বিডিও অফিস (BDO Office) এবং ব্লক স্তরের বিভিন্ন দপ্তরে। কোথায় কোথায় শুনানি কেন্দ্র বা ‘হিয়ারিং সেন্টার’ করা হবে, তা সংশ্লিষ্ট এলাকার ডিইও-র সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করবেন ইআরও-রা (ERO)।
শুনানি প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং তদারকির জন্য প্রায় ৪০০০ মাইক্রো অবজার্ভার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এরা সকলেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী এবং বর্তমানে এ রাজ্যেই কর্মরত। আগামী বুধবার কলকাতার নজরুল মঞ্চে দু’দফায় এই মাইক্রো অবজ়ার্ভারদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। গত ১২ ডিসেম্বর এই নিয়োগের জন্য কমিশনকে চিঠি দিয়েছিল সিইও দপ্তর , যার অনুমতি ইতিমধ্যেই মিলেছে।
এদিকে, কমিশনের এই মাইক্রো অবজার্ভার নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerje)। সোমবার নেতাজি ইন্ডোরে দলীয় BLA-দের নিয়ে একটি সভায় তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্যকে না জানিয়েই কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, “আমি শুনেছি কেন্দ্রীয় সরকারের অনেককে নিয়োগ করা হয়েছে। প্রত্যেক এলাকায় খবর রাখুন, কাকে কাকে নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁরা কোন দপ্তরে কাজ করেন, কোথায় থাকেন- আমরা ডিটেলস চাই।”