ভোটার তালিকা রি-ভেরিফিকেশন: কাকলির পর মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের মেয়েকে নোটিশ, ক্ষুব্ধ তৃণমূল
Authored By:

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:৩৫: রাজ্যে চলছে এসআইআরের (SIR) দ্বিতীয় পর্যায়ে রি-ভেরিফিকেশন (re-verification) । তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের পরিবারের চার সদস্যকে নোটিস পাঠিয়েছে কমিশন। এবার জন্য শুনানিতে ডাক পেলেন মন্ত্রী কন্যা। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যের সেচ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন (Sabina Yasmin)। মেয়ের নামে রি-ভেরিফিকেশনের নোটিশ ইস্যু হওয়ায় চরম ক্ষুব্ধ মালদহের মোথাবাড়ির বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা। জানা গিয়েছে, তাঁর বড় মেয়ে ফিজা বিনতে আলম মার্কিন মুলুকে রয়েছেন। ইউএসএ-তে প্রায় দু’বছর ধরে পড়াশোনা করেন। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) খসড়া ভোটার তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে। তারপরেও হেয়ারিংয়ের জন্য তাঁর নামে নির্বাচন কমিশনের নোটিশ কেন! রাজ্যের সেচ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের অভিযোগ, এভাবেই বিজেপির (BJP) কথায় নির্বাচন কমিশন সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে। এসআইআরের নামে হয়রানি বন্ধের দাবিতে সোচ্চার মন্ত্রী সাবিনাও।
মন্ত্রী বলেন, “আমার মেয়ের-ই শুধু নয়, পর্যাপ্ত নথি দেওয়ার পরেও অনেক সাধারণ ভোটারকে শুনানিতে নোটিশ দিয়ে ডাকা হচ্ছে। এভাবে মানুষকে হয়রানি করে রাজ্যের বিধানসভা ভোটে বিজেপি লাভ করতে পারবে না।” পাল্টা নির্বাচন কমিশনের পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা বিজেপি। এসআইআর (SIR) ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসও (TMC) লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। প্রকৃত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া যাবে না বলে জোরালো দাবি তুলে লড়াই চালাচ্ছে তৃণমূল। এমন পরিস্থিতিতে মালদহের মন্ত্রী কন্যার নামে নোটিশ ইস্যু হওয়ায় জেলার রাজনৈতিক মহলেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, মোথাবাড়ি কেন্দ্রের বিধায়ক হলেও কালিয়াচকের চাঁদপুরের বাসিন্দা রাজ্যের সেচ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। তাঁর স্বামী মহম্মদ মেহবুব আলম কালিয়াচকের একজন ব্যবসায়ী। তাঁর হার্ডওয়্যার ও নির্মাণ সামগ্রীর দোকান রয়েছে। মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের দুই মেয়ে। তাঁদের মধ্যে বড় মেয়ে বিদেশে পড়াশোনা করেন। আমেরিকায় থাকেন। ইউএসএ-র এক বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। স্বভাবতই ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় (Voter list 2002) তাঁর নাম থাকার কথা নয়। ২০২৫ সালের তালিকায় নাম রয়েছে। এবার এসআইআর শুরুর পর নিয়ম মেনে এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করেছেন ফিজা বিনতে আলম। কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী ফর্মে বাবার নাম ও বাবার ভোটার কার্ড সংযুক্ত করেছেন তিনি। তার ভিত্তিতে এসআইআরের খসড়া ভোটার তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে।
নির্বাচন দপ্তরের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবার নামের সঙ্গে ফিজার নাম ‘মিসম্যাচ’ হয়েছে। অর্থাৎ বাবার নামের সঙ্গে তাঁর নামের মিল নেই। এই কারণে মন্ত্রীর মেয়েকে শুনানির নোটিশ ধরানো হয়েছে। তাঁর ডকুমেন্ট রি-ভেরিফিকেশন হবে। গার্জেনের নামের সঙ্গে মিল না থাকায় কালিয়াচকেও অনেকেই শুনানির জন্য ডাক পেয়েছেন। তথ্যে গরমিলের কারণে মালদহ জেলার প্রায় ৬২ হাজার ভোটারকে শুনানিতে ডাকা হচ্ছে।