গ্রামে নেওয়া যাবে না জলকর, নির্দেশ রাজ্য সরকারের

কলকাতা-সহ তৃণমূলের দখলে থাকা কোনও পুরসভায় তখনও জল কর নেওয়া হতো না।

November 15, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

‘জলস্বপ্ন’ (Jalswapna) প্রকল্পে এখন রাজ্যের গ্রামে গ্রামে বাড়িতে পাইপ লাইনের জলের সরবরাহ পৌঁছে দেওয়ার কাজ ব্যাপক তৎপরতার সঙ্গে চলছে। এরই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে রাজ্য সরকারের ঘোষণা, গ্রামের বাড়িতে জল সরবরাহ করার খাতে কোনও অবস্থাতেই ‘কর’ নেওয়া যাবে না। পানীয় জল প্রকল্পের হস্তান্তর উপলক্ষে জারি করা এক যৌথ নির্দেশিকায় এটা পরিষ্কার করে দিয়েছে পঞ্চায়েত এবং পিএইচই দপ্তর। বলা হয়েছে এটাই যে রাজ্য সরকারের নীতি। প্রসঙ্গত, বিনামূল্যে সাধারণ মানুষের বাড়িতে জল সরবরাহ করা হবে তা মুখ্যমন্ত্রী ২০১১-এ বলেছিলেন। বাড়িতে সরবরাহ করা জলের উপর কর নিতে উদ্যোগী হয়েছিল বামফ্রন্ট। ওই আমলে কিছু বাম পুরসভা তা নিতেও শুরু করে। কিন্তু কলকাতা-সহ তৃণমূলের দখলে থাকা কোনও পুরসভায় তখনও জল কর নেওয়া হতো না।

তৃণমূল (Trinamool) রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর সব পুরসভায় জলকর নেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। গ্রামের বাড়িতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহের কাজে গতি এসেছে তৃণমূল আমলে। নতুন প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার আগে গত বছরের মার্চ-এপ্রিলের গোড়া পর্যন্ত রা঩জ্যে ২ লক্ষ ১৯ হাজার ৩০৮টি বাড়িতে পাইপের জল পৌঁছে যায়। রাজ্যে জলস্বপ্ন প্রকল্পটি চালু হওয়ার পর ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত আরও ২ লক্ষ ৫৭ হাজার ১৩১টি বাড়িতে পাইপের জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। জানিয়েছে পিএইচই সূত্র। অক্টোবরে ৫০,৬৯৬টি ও নভেম্বরের ১৩ দিনে ৩০,৮৫৩টি বাড়িতে জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। গ্রামবাংলার সব বাড়িতে (১ কোটি ৬০ লক্ষ) ২০২২-এর মধ্যে জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে রাজ্য।

কোনও কোনও জায়গায় গ্রামে ছোটখাটো জল প্রকল্পের সুবিধা প্রাপকদের স্থানীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে মাসে কিছু টাকা দিতে হয়। প্রকল্প চালানো ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ তোলার জন্য ওই টাকা নেওয়া হয়। অবশ্য পিএইচইর কর্তাদের বক্তব্য, টাকা নেওয়ার কথা নয়। বিভাগীয় মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র (Soumen Mahapatra) জানিয়েছেন, জলের সংযোগ দেওয়া ও সরবরাহের জন্য কোনও টাকা না-নেওয়ার সিদ্ধান্ত মু্খ্যমন্ত্রী নিয়েছেন।

এই পরিস্থিতিতে দুই দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধানসচিবের জারি করা নির্দেশিকায় জলের জন্য কোনও টাকা না-নেওয়ার কথা জানিয়ে দেওয়া হল। পিএইচই (PHE) আধিকাকিরদের আশা, একেবারে স্থানীয় পর্যায়ে কোথাও কোথাও বাড়িতে জল সরবরাহর জন্য টাকা নেওয়া হলে তা এবার পুরো বন্ধ হয়ে যাবে। এতদিন পঞ্চায়েতের হাতে ৫৮৭টি পানীয় জল প্রকল্প ছিল। সেগুলি পিএইচইর হাতে যাচ্ছে। ওই প্রকল্পগুলি চালানো ও রক্ষণাবেক্ষণের পুরো দায়িত্ব ও খরচ ওই দপ্তরের। প্রসঙ্গত, গ্রামের বাড়িতে জল সরবরাহের সর্বভারতীয় প্রকল্পটি কার্যকর করার খরচের অর্ধেক কেন্দ্র দিচ্ছে। বাকিটা রাজ্যের। কিন্তু প্রকল্পটি চালু হওয়ার পর জল সরবরাহ করার খরচের অংশ কেন্দ্র বহন করবে কি না সেটা এখনও অনিশ্চিত। পঞ্চদশ অর্থ কমিশন থেকে বিভিন্ন রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলি জল ও নিকাশি খাতে যে টাকা পাচ্ছে তা এই প্রকল্পের জন্য খরচ করার পরামর্শ দিচ্ছে কেন্দ্র।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen