জাল ওষুধের কারবার রুখতে নিষেধাজ্ঞা জারি রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের
জাল ওষুধ আটকাতে কয়েক দফা নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। হোলসেলারদের জন্যই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১২:০০: রাজ্য জাঁকিয়ে বসেছে জাল কারবার। এবার রাজ্যে জাল ওষুধের রমরমা রুখতে উদ্যোগ নিল রাজ্য। ১৩৭ রকমের ওষুধ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল। ওষুধের নাম ও নির্দিষ্ট ব্যাচ নম্বর দিয়ে পাইকারি ও খুচরো বিক্রেতাদের নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি জাল ওষুধ আটকাতে কয়েক দফা নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। হোলসেলারদের জন্যই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বাজার থেকেও যেন এই ১৩৭ রকমের ওষুধ তুলে নেওয়া হয়। তালিকায় রয়েছে অস্ত্রোপচারের পর ব্যবহৃত ইঞ্জেকশন থেকে আই ড্রপ, যক্ষ্মা, কেমো এবং রেডিওথেরাপির পর শারীরিক অসুস্থতা নিরাময়ের ওষুধ, ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ব্যবহৃত ইঞ্জেকশন, ফুসফুসের সংক্রমণ নিরাময়ের ওষুধ, খাদ্যনালী ও পেটের আলসার সারানোর মতো ওষুধ। দেশজুড়ে গুণমান যাচাইয়ের পরীক্ষায় ফেল করেছে প্রায় ১৯৮টি ওষুধ।
রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে ১৩৭ রকমের ওষুধকে বাতিল করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বিক্রেতাদের জন্যে বলা হয়েছে, বৈধ লাইসেন্স রয়েছে কিনা তা যাচাই করার পরই যেন যেকোনও সংস্থার কাছ থেকে তাঁরা ওষুধ কেনেন। লাইসেন্সের মেয়াদ কতদিনের তাও খতিয়ে দেখতে হবে। রাজ্যের বাইরের কোনও সংস্থার থেকে ওষুধ কিনলে অবশ্যই সেসব সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস চেক করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। জিএসটি নম্বরও আছে কিনা দেখে নিতে হবে। যে সব ওষুধের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে, সংশ্লিষ্ট ওষুধগুলি কেনার আগে বাধ্যতামূলকভাবে কিউ আর কোড স্ক্যান করতে হবে। স্বাস্থ্য দপ্তরের আশা, নয়া বিধি নিষেধের ফলে রাজ্যের ওষুধের বাজারে জাল ওষুধ বিক্রি ও ব্যবহারের উপর নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব হবে।