লক্ষ্য শিল্পায়ন, এবার জেলায়-জেলায় ‘শিল্প সম্মেলন’ করার উদ্যোগ রাজ্য সরকারের
কোভিড কাল পেরিয়ে এপ্রিল মাসে রাজ্যে বসবে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। চলবে দু’দিন। তার আগে কোন জেলায় কোন শিল্প হতে পারে, কোন শিল্প গড়তে কোন জেলায় কী সমস্যা রয়েছে তা নিয়ে জেলায়-জেলায় আলোচনায় বসবে প্রশাসনিক কর্তারা।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন সরকারের এবারের লক্ষ্য শিল্প। রাজ্যে বিনিয়োগ টানা। তৃতীয়বার বাংলার মসনদে বসার পরই নিজেদের টার্গেট স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই লক্ষ্যপূরণ করতে এবার জেলায়-জেলায় ‘শিল্প সম্মেলন’ বা ‘সিনার্জি’ করার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। যা আদপে ‘বিশ্ববাংলা শিল্প সম্মেলনের’ প্রস্তুতি পর্ব।
কোভিড কাল পেরিয়ে এপ্রিল মাসে রাজ্যে বসবে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। চলবে দু’দিন। তার আগে কোন জেলায় কোন শিল্প হতে পারে, কোন শিল্প গড়তে কোন জেলায় কী সমস্যা রয়েছে তা নিয়ে জেলায়-জেলায় আলোচনায় বসবে প্রশাসনিক কর্তারা। থাকবেন বণিকসভার সদস্যরাও। স্থানীয় শিল্পপতি, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা হবে শিল্পের সম্ভাবনা ও সমস্যা নিয়ে। শিল্প সম্মেলনের আগে এই ‘জেলাওয়ারি সমীক্ষা’ নিসন্দেহে সরকারকে সাহায্য করবে বলেই ধারনা ওয়াকিবহাল মহলের। আগামী কাল অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকেই শুরু হচ্ছে সেই জেলা শিল্প সম্মেলন বা সিনার্জি। চলবে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মোট ১১টি জেলায় হবে এই সম্মেলন।
প্রতিবছরই তাবড়-তাবড় শিল্পকর্তা, বিশিষ্ট বিনিয়োগকারী, দেশ-বিদেশের উদ্যোগপতিরা হাজির থাকেন বিশ্ব বাংলা শিল্প সম্মেলনে। রাজ্যের শিল্পবান্ধব পরিস্থিতির শিল্পপতিদের কাছে তুলে ধরে রাজ্য। উন্নয়নের নিরিখে দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলির থেকে বাংলা কীভাবে এগিয়েছে তা তথ্য দিয়ে দেশ-বিদেশের প্রতিনিধিদের কাছে তুলে ধরে সরকার।
এবার বাণিজ্য সম্মেলন আরও বড় আকারে করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছেন, সরকারের বর্তমান লক্ষ্য শিল্প গড়া। তার আগে জেলাগুলির শিল্পের পরিবেশ সম্পর্কে সামগ্রিক ধারনা তৈরি করে নিতে চাইছে সরকার।
২০২১ সালে কোভিড পরিস্থিতির কারণে আন্তর্জাতিক স্তরের এই সম্মেলন হয়নি। উদ্বোধনে এবার দেশের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লির PMO-তে মোদির সঙ্গে দেখা করার পর তাঁকে এই সম্মেলনের কথা জানিয়ে উদ্বোধনে আসার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।