Weather Today: বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি আরও শক্তি বৃদ্ধি করছে, প্রবল বৃষ্টির আশঙ্কা
Authored By:

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ০৮:৩০: বৃহস্পতিবার উত্তর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি আরও শক্তি বৃদ্ধি করবে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে দক্ষিণবঙ্গের উপর আসবে। নিম্নচাপের পাশাপাশি মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে আগামী কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বেশি মাত্রায় বৃষ্টি হবে। আজ, শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কোথাও কোথাও অত্যন্ত গভীর বৃষ্টির (২৪ ঘণ্টায় ২০০ মিমির বেশি) সম্ভাবনা থাকছে। এজন্য ‘লাল’ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির (৭০-২০০ মিমি) ‘কমলা’ সতর্কতা জারি করা হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলি, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রাম জেলায়। কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির (৭০-১১০ মিমি) সম্ভাবনা আছে।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, চিন ও ভিয়েতনামে আছড়ে পড়া ঘূর্ণিঝড় ‘উইফা’-র একটি অংশ বঙ্গোপসাগরের উপর প্রভাব ফেলেছে। তার জেরে বৃহস্পতিবার একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়, যা ক্রমশ ঘনীভূত হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবেই দক্ষিণবঙ্গজুড়ে ব্যাপক বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিতে মধ্য কলকাতার একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত পার্ক স্ট্রিট, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, কলেজ স্ট্রিট, ঠনঠনিয়া, বিবেকানন্দ রোড–সহ কাঁকুড়গাছির বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলের তলায় চলে যায়। বৃষ্টির দাপটে রাতেও অনেককেই বাড়ি ফিরতে সমস্যায় পড়তে হয়। শহরের রাস্তাগুলিতে জল জমে যাওয়ায় ব্যাহত হয় যান চলাচল।
সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে জলস্তর বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রাজ্যের একাধিক নিচু এলাকাও নতুন করে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সমুদ্র উত্তাল থাকার কারণে বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয়, উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলাতেও শুক্রবার দমকা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন।