মন্ত্রিসভার অনুমোদনে বাড়ছে অনগ্রসর শ্রেণীর সংখ্যা, OBC সংরক্ষণে নয়া বিধিও আনছে রাজ্য
সরকারি তালিকায় থাকা অনগ্রসর শ্রেণীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সূত্রের খবর, তালিকায় এতদিন ৬৬টি অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর নাম ছিল। দু’টি শ্রেণীর নাম আপাতত বাদ গিয়েছে। আরও ৭৬টি নতুন অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১১:০০: ওবিসি তথা অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর সংরক্ষণে নয়া বিধি আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। সরকারি তালিকায় থাকা অনগ্রসর শ্রেণীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সূত্রের খবর, তালিকায় এতদিন ৬৬টি অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর নাম ছিল।
সমীক্ষার পর তালিকা থেকে দু’টি শ্রেণীর নাম আপাতত বাদ গিয়েছে। তা নিয়ে ফের সমীক্ষা হবে। ৬৪টি অনগ্রসর জাতির সঙ্গে আরও ৭৬টি নতুন অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সবমিলিয়ে এখন তালিকায় অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর সংখ্যা বেড়ে হল ১৪০। প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি! ৭ থেকে বেড়ে হল ১৭ শতাংশ।
জানা যাচ্ছে, নয়া সংরক্ষণ বিধিও চূড়ান্ত করা হয়েছে। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্মতি পর তাতে সিলমোহর দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। আগামী বিধানসভা অধিবেশনে ওবিসি সংরক্ষণের নয়া বিধি পেশ করা হবে।
এক মামলায় ২০১০ সালের পর তৈরি রাজ্যের সব ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করে দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। হাই কোর্টের সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয়নি দেশের শীর্ষ আদালত। ওবিসি চিহ্নিত করতে ফের নতুন করে সমীক্ষা শুরু করে রাজ্য। সমীক্ষার ফলের উপর ভিত্তি করে নয়া বিধি চূড়ান্ত করেছে রাজ্য।
নবান্নে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে নয়া ওবিসি সংরক্ষণ বিধি পেশ করা হয়। নবান্ন সূত্রে খবর, আগামী ৯ জুন থেকে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হচ্ছে। এই পর্বেই নয়া বিধি বিল আকারে নিয়ে আসবে রাজ্য।
আগামী ১৯ জুন হাই কোর্টে ওবিসি মামলার শুনানি রয়েছে। কোন পদ্ধতিতে সমীক্ষা করে নতুন ওবিসি তালিকা তৈরি হবে, আদালতে তা জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ‘রাজ্য ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস কমিশন’কে। অবিলম্বে সমীক্ষা নিয়ে কমিশনকে বিভিন্ন সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিডিওদেরও নির্দেশ দিতে হবে। যার ভিত্তিতে সমীক্ষার জন্য নতুন নতুন সম্প্রদায়ের থেকে আবেদন গ্রহণের বার্তা থাকবে। মামলায় ‘ন্যাশনাল কমিশন ফর ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস বিভাগকেও’ যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই সমীক্ষার কাজই সম্পূর্ণ হয়েছে। তৈরি হয়েছে নয়া বিধিও। এখন দেখা আগামী ১৯ জুন আদালত কী জানায়।