বেকারত্ব, সংক্রমণ রুখেই যুদ্ধ বাংলার

বেকারত্বে রাশ টানা হোক বা করোনা রোখার যুদ্ধ, দেশের অন্য অনেক রাজ্যের থেকে পশ্চিমবঙ্গ এগিয়ে রয়েছে বলে জানানো হল নবান্নের তরফে।

June 5, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মধ্যেই আম্পানে লন্ডভন্ড হয়েছে রাজ্য। তা সত্ত্বেও অর্থনীতি বা স্বাস্থ্য, কোনও ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়েনি বাংলা। বরং পরিসংখ্যান তুলে ধরে, বেকারত্বে রাশ টানা হোক বা করোনা রোখার যুদ্ধ, দেশের অন্য অনেক রাজ্যের থেকে পশ্চিমবঙ্গ এগিয়ে রয়েছে বলে জানানো হল নবান্নের তরফে। এর সঙ্গে ঝড়ে দুর্গতদের দেওয়া হয়েছে নগদ আর্থিক সাহায্য। বেতন কমানো হয়নি সরকারি কর্মচারীদের, উপরন্তু এ বছর সরকারি কোষাগারে টানাটানির মধ্যেও মিলেছে উৎসব ভাতা।

লকডাউনে অর্থনীতি ধাক্কা খাওয়ায় দেশজুড়ে বেকারত্বের হার বেড়েছে। তার উপরে আম্পান রাজ্যে অনেকের রোজগারের রাস্তা কঠিন করে তুলেছে। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি বা ‘সিএমআইই’-র পরিসংখ্যান বলছে, এ সব সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গে বেকারত্বের হার দেশের সার্বিক হারের থেকে কম। লকডাউনের জন্য মে মাসের শেষে দেশের বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ২৩.৪৮ শতাংশে৷ মার্চে যা ছিল ৮.৮ শতাংশ৷ সেই জায়গায় মে মাসের হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের বেকারত্বের হার ১৭.৪১ শতাংশ৷ এপ্রিল ও মে, উপর্যুপরি দু’মাস রাজ্যে এই হার একই রয়েছে।

বেকারত্ব, সংক্রমণ রুখেই যুদ্ধ বাংলার

এর মধ্যে, মে মাসে কিন্তু অন্য রাজ্য থেকে এ রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকরা কাজ হারিয়ে ফিরেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের কর্মসংস্থানের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছিলেন। ইতিমধ্যেই পরিযায়ী শ্রমিকদের ১০০ দিনের কাজের জব কার্ড দেওয়া শুরু হয়েছে। আবার এর মধ্যেই ২০ মে এসেছিল আম্পান।

এ ছাড়া ক্ষুদ্র, অতি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগে উৎসাহদানেও রাজ্যে সাফল্য এসেছে বলে দাবি৷ করোনা আবহে দেশে এই শিল্পক্ষেত্রটি কী ভাবে প্রভাবিত হয়েছে, তা নিয়ে সমীক্ষা করেছে অল ইন্ডিয়া ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন৷ কয়েকদিনের মধ্যেই প্রকাশিত হবে তার রিপোর্ট। সূত্রের খবর, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে দেশের মোট এমএসএমই উদ্যোগের এক-তৃতীয়াংশই প্রভাবিত হয়েছে লকডাউনে৷ কিন্তু রাজ্যে সেই প্রভাবের মাত্রা কম।

রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রর বক্তব্য, ‘বেকারত্বের এই তুলনামূলক পরিসংখ্যান রাজ্যের সুদৃঢ় অর্থনৈতিক ভিত্তিকেই তুলে ধরছে৷ করোনা এবং আম্পানকে একযোগে সামাল দিয়েও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার দক্ষতার সঙ্গে রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে৷’ তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের মতে, ‘নানা অজুহাতে বাংলার সমালোচনা না-করে দেশের অন্যান্য রাজ্যের উচিত বাংলাকে দেখে শেখা, কী ভাবে যাবতীয় প্রতিকূলতাকে জয় করতে হয়৷ আমরা যখন বারবার উন্নয়নমূলক সংখ্যার হিসেব করছি, তখন বিজেপি একটাই সংখ্যা গুনছে, ২০২১৷’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen