কৃষকদের জন্য বড় খবর! ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের টাকা দেওয়া শুরু করল রাজ্য সরকার

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৩:২১: বাংলার কৃষকদের জন্য বড় খবর! কৃষক বন্ধু (krishak bandhu) প্রকল্পের টাকা দেওয়া শুরু করল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার থেকে এই কর্মসূচির সূচনা হয়েছে। এদিন সামাজিক মাধ্যমে এই বিষয়ে বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee News)। রাজ্যের কৃষকদের জন্য সরকার বরাবরই আছে। সেই বার্তা বরাবরই রাজ্য সরকারের তরফে দেওয়া হয়েছে। কৃষকরা রাজ্যের সম্পদ, গর্ব। সেই বার্তাই এদিন দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বছরে দুটি কিস্তিতে কৃষক বন্ধুর টাকা দেওয়া হয়। যে সমস্ত কৃষকের এক একর বা তার বেশি চাষযোগ্য জমি রয়েছে তাঁরা বছরে ১০ হাজার টাকা পান। যে সমস্ত কৃষকের এক একর বা তার কম চাষযোগ্য জমি রয়েছে তাঁরা ৪ হাজার টাকা করে পান। প্রতি বছর দুবার, অর্থাৎ খরিফ ও রবি মরসুমে দুটি কিস্তিতে এই টাকা কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পাঠানো হয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট শেয়ার করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আসন্ন খরিফ মরসুমের জন্য কৃষক বন্ধু (নতুন) প্রকল্পে সহায়তা প্রদান আজ থেকে শুরু করা হল। কৃষক বন্ধু (নতুন) প্রকল্পে রাজ্যের কৃষকদের ও বর্গাদারদের বছরে দুই কিস্তিতে একর প্রতি ১০ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হয়। যাঁদের কম জমি আছে, তাঁরাও আনুপাতিক হারে (ন্যূনতম ৪ হাজার টাকা) সহায়তা পান। এবারে রাজ্যের ১ কোটি ৯ লক্ষ কৃষক ও বর্গাদার এই সহায়তা পাচ্ছেন। তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মোট ২,৯৩০ কোটি টাকা সরাসরি দেওয়া হচ্ছে। এই বছরের শেষের দিকে রবি মরসুমের জন্যও একই পরিমাণ টাকা দেওয়া হবে। ২০১৯ সালে চালু হবার পর থেকে এই প্রকল্পে মোট ২৪,০৮৬ কোটি টাকা আমরা আমাদের কৃষকদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। এজন্য আমি গর্বিত! শুধু তাই নয়, ১৮ বছর থেকে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত কোনো কৃষক মারা গেলে তাঁর পরিবারকে সামাজিক সুরক্ষা দেবার উদ্দেশ্যে ২ লক্ষ টাকা সহায়তাও দেওয়া হয়। এই খাতেও বাংলার প্রায় ১ লক্ষ ৪৬ হাজার কৃষক পরিবার মোট ২,৯২০ কোটি টাকা সহায়তা পেয়েছেন। আমি সবসময় মনে করি, আমাদের কৃষকরা আমাদের সম্পদ, আমাদের গর্ব। আমাদের সরকার আগামীদিনেও এভাবেই তাঁদের সার্বিক কল্যাণের উদ্দেশ্যে কাজ করে যাবে।’