সংস্কৃতকে গুরুত্ব দিতে টোলগুলিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আনার ভাবনা রাজ্যের
অন্যতম প্রাচীন ভাষা হল সংস্কৃত

অন্যতম প্রাচীন ভাষা হল সংস্কৃত। যদিও হালে সেই ভাষা লুপ্তির পথে। কিন্তু এবার দেশের আদিতম ভাষা সংস্কৃতকে বাঁচাতে উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য। এবার সংস্কৃত টোলগুলিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নিয়ে আসতে চাইছে রাজ্য। উল্লেখ্য, সংস্কৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি টোল নামেই পরিচিত। মঙ্গলবার ২১ জুন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। নবদ্বীপে সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরি হয়েছে। সেখানেই কোচবিহারসহ রাজ্যের অন্য টোলগুলিকেও এক ছাতার তলায় নিয়ে আসতে চাইছে রাজ্য।
রাজ্যের শিক্ষমন্ত্রী জানান, সংস্কৃত ভাষার প্রসারের জন্য টোলগুলিকে সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেছে রাজ্য। প্রসঙ্গত, রাজ্যে বাম শাসনকালে কোচবিহার মহারাজা জিতেন্দ্রনারায়ণ সংস্কৃত মহাবিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বর্তমানে কলেজটি মজুতঘর হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যা সমাজবিরোধীদের আখড়া হয়ে উঠেছে। কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে কলেজটি আবারও চালু করার জন্যে আবেদন করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, রাজ্য সাঁওতালি ভাষার স্কুল খুলতেও আগ্রহী। ইতিমধ্যেই রাজ্যের কাছে বাঘমুন্ডিতে সাঁওতালি স্কুল গড়ার আবেদন এসেছে। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ভাষার জন্য রাজ্য সরকার সংবেদনশীল। রাজ্যের উদ্যোগে সাঁওতালি ভাষাভাষীদের এলাকায় অনেক স্কুল খোলা হচ্ছে। পুরুলিয়াতেও সাঁওতালি স্কুল খোলা হবে।