নতুন মন্দিরে রথযাত্রার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে দীঘায় মুখ্যমন্ত্রী, করলেন জনসংযোগও
রথযাত্রার গুরুত্ব বিবেচনায় প্রশাসনিক তৎপরতা খতিয়ে দেখাই তাঁর সফরের মূল উদ্দেশ্য বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:০৪: শুক্রবার রাজ্যজুড়ে পালিত হবে রথযাত্রা উৎসব। তার আগে সৈকত শহরে রথযাত্রার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বুধবারই পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রথযাত্রার গুরুত্ব বিবেচনায় প্রশাসনিক তৎপরতা খতিয়ে দেখাই তাঁর সফরের মূল উদ্দেশ্য বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।

দীঘায় প্রবেশের আগে পথেই থেমে থেমে জনসংযোগ করেনন মুখ্যমন্ত্রী। কাঁথি এলাকায় গাড়ি থামিয়ে প্রথমে কথা বলেন তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে। এরপর মারিশদা থানায় পৌঁছে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গেও সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেন। পরে কাঁথি বাসস্ট্যান্ডের সামনেও গাড়ি থামিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন তিনি। সফরের একটি পর্বে রামনগরে স্থানীয় বিধায়ক অখিল গিরির সঙ্গে পদযাত্রাতেও অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী।

এই প্রথম দীঘার নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দির থেকে শুরু হবে উৎসব। পুরনো মন্দির পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ রথযাত্রায় বহু মানুষের সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রশাসনের ধারণা, প্রায় দুই থেকে আড়াই লক্ষ ভক্ত জড়ো হবেন এই উৎসবে।

এই বিপুল ভিড় সামাল দিতে আগে থেকেই প্রশাসন, পুলিশ, দমকল ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে কড়া নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সেই নির্দেশ কতটা কার্যকর হয়েছে, তা নিজের চোখে দেখতেই তিনি দীঘা গিয়েছেন বলে জানা গেছে।

তবে বুধবার রাত পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মন্দিরে যাননি। শুক্রবার সকালে সোনার ঝাঁটায় রাস্তা পরিস্কার করে রথ টেনে উৎসবের সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। গোটা দীঘা শহরে তাঁর আগমন ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ওল্ড দীঘা থেকে নিউ দীঘা পর্যন্ত রাস্তার দুই ধারে কাঠের ব্যারিকেড বসানো হয়েছে, নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে যান চলাচল।