রাজ্যের মুকুটে নয়া পালক, আধার মোবাইল সংযোগে ভারত সেরা বাংলা

বাংলার এহেন পারফরম্যান্সের কারণ যে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প, সেব্যাপারে একমত ডাক বিভাগের আধিকারিকরা।

April 3, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

কন্যাশ্রী থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। রাজ্যের জনমুখী প্রতিটি প্রকল্পেই বাধ্যতামূলক আধার। জরুরি আধার কার্ড এবং মোবাইল নম্বর সংযুক্তি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্পগুলির সুফল পেতে গত এক বছরে দলে দলে নাম লিখিয়েছে আম জনতা। আর তার জেরেই রাজ্যের মুকুটে জুড়ল নয়া পালক। আধার কার্ডের সঙ্গে মোবাইল নম্বর সংযুক্তি বা ডেটা আপডেটের ক্ষেত্রে শুধু এগিয়ে নয়, দেশের সেরা বাংলা। খোদ ডাক বিভাগের প্রতিযোগিতায় মিলল এই স্বীকৃতি। ৮৫১ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে নজির গড়েছে পশ্চিমবঙ্গ। হারিয়ে দিয়েছে গুজরাত, অসম, কর্ণাটক, বিহার, উত্তরাখণ্ডের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকে।
ডাক বিভাগের প্রকাশিত তথ্য বলছে, এই কাজে জেলা হিসেবেও শীর্ষে বাংলার মুর্শিদাবাদ। দ্বিতীয় স্থানে উত্তর ২৪ পরগনা ও তৃতীয় নদীয়া। বলাই বাহুল্য, লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অনেক বেশি কাজ হয়েছে এই তিন জেলায়। সেখানে লক্ষ্যমাত্রা পূরণের ধারে কাছে নেই গুজরাত, রাজস্থান, বিহার, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যগুলি। শনিবার এপ্রসঙ্গে ডাক বিভাগের রানাঘাট সাব ডিভিশনের (পূর্ব) সহকারী সুপারিন্টেন্ডেন্ট উজ্জ্বল কুণ্ডু বলেন, ‘দপ্তরের  নির্দেশে আমরা একযোগে  কাজ করেছি। ডাক বিভাগের প্রতিযোগিতামূলক এই কর্মসূচিতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পাঁচ হাজার আধারের সঙ্গে মোবাইল লিঙ্ক করতে পারলে পুরস্কার হিসেবে স্কুটি দেওয়ার ঘোষণা হয়েছিল। গোটা দেশে পুরস্কার হিসেবে মোট ২১১টি স্কুটি বরাদ্দ হয়েছে। তার মধ্যে এ রাজ্যেই আসছে ১৭৯টি।’


বাংলার এহেন পারফরম্যান্সের কারণ যে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প, সেব্যাপারে একমত ডাক বিভাগের আধিকারিকরা। তাঁদের মতে, ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতেও আধার কার্ডের জন্য পৃথক শিবির খোলা হয়েছিল। এছাড়া ছুটির দিনে বিভিন্ন গ্রামে শিবির চলেছে। বহু মানুষ সেখানে আধারের সঙ্গে মোবাইল নম্বর লিঙ্ক করিয়েছেন। ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের সুবিধার জন্য দলে দলে এসে কার্ড সংশোধন করেছেন মহিলারা। দপ্তর সূত্রে খবর, নদীয়ার তালদহ পোস্ট অফিসের কর্মী অনামিকা মণ্ডল পাঁচ হাজার আধার আপডেট করে দেশের প্রথম মহিলা ডাক কর্মী হিসেবে স্কুটি জিতেছেন। এছাড়া গত ২৪ মার্চ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে স্কুটি জিতেছেন নদীয়ার গাজিপুর পোস্ট অফিসের গ্রামীণ ডাকসেবক, ৬৩ বছরের মধুসূদন হালদারও।
জানা গিয়েছে, ২০২১-’২২ আর্থিক বছরে দেশজুড়ে আধার কার্ড আপডেট ও সংশোধনের টার্গেট ছিল প্রায় ২ কোটি ৯০ লক্ষ। পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ লক্ষ ৯৪ হাজার। সেখানে অর্থবর্ষ শেষে শুধু এরাজ্যেই ১ কোটি ১ লক্ষ ৬৯ হাজার আধার সংশোধন ও আপডেট হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ছত্তিশগড় (১০৭ শতাংশ)। সেখানে বিজেপি শাসিত অসমে মাত্র সাড়ে পাঁচ শতাংশ, উত্তরাখণ্ডে ১৬ শতাংশ, গুজরাত ও বিহারে ২৯ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen