“বাংলা আজ যা ভাবে, দেশ তা ভাবে আগামীকাল”, ‘যাত্রী সাথী’ প্রকল্পের জাতীয় স্বীকৃতিতে গর্বিত মুখ্যমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৮:২৯: পশ্চিমবঙ্গের তথ্যপ্রযুক্তি ও ইলেকট্রনিক্স দপ্তরের (IT&E Department) উদ্যোগে পরিচালিত ‘যাত্রী সাথী’ প্রকল্প এবার জাতীয় স্তরে স্বীকৃতি পেল। কেন্দ্রীয় নগর উন্নয়ন মন্ত্রক (MoHUA) এই প্রকল্পকে ‘সেরা নগর পরিবহণ প্রকল্প’-এর সম্মাননা এবং চলমান ট্রফি প্রদান করেছে। এই সাফল্যের কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটারে লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের জন্য গর্বের মুহূর্ত! যাত্রী সাথী প্রকল্প পেয়েছে Award of Excellence এবং Best Urban Transport Project-এর চলমান ট্রফি।”
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই একাধিক রাজ্য এই মডেল অনুসরণ করছে। এই মানবকেন্দ্রিক পরিবহণ প্রকল্পে এখন পর্যন্ত ১.৪২ কোটির বেশি যাত্রা সম্পন্ন হয়েছে, যার ফলে উপকৃত হয়েছেন ১.৩ লক্ষেরও বেশি চালক এবং ৪৫ লক্ষ যাত্রী। তিনি এই অসাধারণ কাজের সঙ্গে যুক্ত সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন।
রাইড শেয়ারিং ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে চালক ও যাত্রীদের মধ্যে স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তৈরি এই প্রকল্প রাজ্যজুড়ে সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। এখন তা দেশের অন্যান্য রাজ্যেও অনুসৃত হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বার্তায় আবারও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, “বাংলা আজ যা ভাবে, দেশ তা ভাবে আগামীকাল।” (what Bengal thinks today, India thinks tomorrow) এই সাফল্যে রাজ্য প্রশাসন ও প্রযুক্তি দপ্তরের কর্মকর্তারা উচ্ছ্বসিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, যাত্রী সাথী প্রকল্প নগর পরিবহণ ব্যবস্থায় এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
Proud moment for West Bengal!
Yatri Sathi, by the IT&E Department, Government of West Bengal, has received the Award of Excellence and the running trophy for Best Urban Transport Project by MoHUA, Government of India.
Now being replicated by several States, this people-first… pic.twitter.com/C51Jv6MNUN
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) November 10, 2025
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে “যাত্রী সাথী” (Yatri Saathi) অ্যাপটি ২০২৩ সালের ১৬ই অক্টোবর চালু হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়ালি এই অ্যাপের উদ্বোধন করেন।
এই অ্যাপটি মূলত কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার হলুদ ট্যাক্সি ও অন্যান্য ক্যাব পরিষেবাগুলিকে একটি প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসার জন্য চালু করা হয়েছিল, যার প্রধান লক্ষ্য ছিল যাত্রী ও চালক উভয়কেই মধ্যস্বত্বভোগী বা অতিরিক্ত কমিশন ছাড়াই পরিষেবা প্রদান করা।