ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি কোন পর্যায়ে, অভিষেকের প্রশ্নে কী জানালো কেন্দ্র?

আমেরিকার এই শুল্কনীতি কূটনৈতিক ব্যর্থতার ফল, যা দেশের অর্থনীতিকে চাপে ফেলবে। তাঁর দাবি, সরকারকে অবিলম্বে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

August 12, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৬:০৩: আমেরিকার (US) সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যচুক্তির বর্তমান পরিস্থিতি ও এর ভবিষ্যৎ কী তা নিয়ে কেন্দ্রের কাছে লোকসভায় (Lok Sabha) একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। শুধু চুক্তির অগ্রগতি নয়, আমেরিকার চাপানো ২৫ শতাংশ শুল্কের ফলে দেশের রফতানি খাত, বিশেষ করে বস্ত্র, ওষুধ ও বৈদ্যুতিন শিল্পে প্রভাব নিয়েও জানতে চান তিনি।

কেন্দ্রীয় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জিতিন প্রসাদ (Jitin Prasad) উত্তর দিয়েছেন, ২০২৫ সালের মার্চ থেকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে এবং ইতিমধ্যেই পাঁচ দফা বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে। তবে, আমেরিকা গত ৭ আগস্ট থেকে কয়েকটি ভারতীয় পণ্যের উপরে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে এবং ২৭ আগস্ট থেকে আরও কিছু রপ্তানি দ্রব্যের ক্ষেত্রে একই শুল্ক বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। যদিও ওষুধ ও বৈদ্যুতিন পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ হয়নি। জিতিন প্রসাদ জানান, শুল্কের প্রভাব কতটা পড়ছে, তা জানার জন্য রপ্তানিকারকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরীও স্বীকার করেছেন, আমেরিকায় রপ্তানি হওয়া পণ্যের প্রায় ৫৫ শতাংশ এই শুল্কের প্রভাবে পড়তে পারে।

সাংসদের অভিযোগ, আমেরিকার এই শুল্কনীতি কূটনৈতিক ব্যর্থতার ফল, যা দেশের অর্থনীতিকে চাপে ফেলবে। তাঁর দাবি, সরকারকে অবিলম্বে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) স্পষ্ট জানিয়েছেন, শুল্ক সমস্যা না মিটলে আলোচনায় কোন অগ্রগতি হবে না। ফলে ষষ্ঠ দফার বৈঠক নিয়েও এখন অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। চাপের মুখে দিল্লি জানিয়ে দিয়েছে যে, ভারত কোনভাবেই মাথা নত করবে না। শুল্ক বিরোধ ও বাণিজ্যচুক্তি দুইদিকেই কূটনৈতিক দড়ি টানাটানি এখন চরমে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen