পার্থকে নিয়ে কী ভাবছে তৃণমূল নেতৃত্ব? অবস্থান স্পষ্ট করল কালীঘাট

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৩:৩০: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় তিন বছরের বেশি সময় পর জামিনে ছাড়া পেয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। রাজনীতির ময়দানে ফিরতে মরিয়া পার্থ। তিনি যে প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পেতে চাইছে তা হাবেভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছেন। এখনই বিধানসভায় যেতে চাইছেন। একের পর এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে নানান দাবি করেছেন পার্থ। তাঁকে কি ফের তৃণমূল বরণ করে নেবে? নাকি নিলম্বিতই থাকবেন? এখন আম জনতার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে একটাই প্রশ্ন, পার্থ সম্পর্কে তৃণমূলের অবস্থান কী? দলের নেতা-কর্মীরা কালীঘাটের মন বুঝতে চাইছেন।
তৃণমূল সূত্রে খবর, দলের মুখপাত্রদের স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে; পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে তৃণমূলের অবস্থান জানতে চাইলে সংবাদমাধ্যমকে জানাতে হবে, উনি এখনও সাসপেন্ডেড নেতা। দুর্নীতির অভিযোগে দল তাঁকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছে। মাত্র সওয়া তিন বছর হয়েছে। এখনও ২ বছর ৭ মাস মেয়াদ বাকি।
শোনা যাচ্ছে, কালীঘাট নাকি জানিয়ে দিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে যে অভিযোগ উঠেছিল, তার তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। তদন্ত চলছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখনও নির্দোষ প্রমাণিত হননি। তিনি শুধু জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। যত দিন না তিনি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারছেন, ততদিন তাঁকে সংগঠন বা দলের সক্রিয় সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।
জামিনে ছাড়া পেয়ে জেল মুক্তি ঘটেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি বাড়ি ফিরেছেন।
তারপর থেকে তাঁর নাকতলার বাড়িতে সংবাদমাধ্যম রীতিমতো ঝাঁপিয়ে পড়েছে। একের পর এক দাবি করছেন পার্থ। বুঝিয়ে দিচ্ছেন তিনি ফের রাজনীতিতে সর্বপরি তৃণমূলে কামব্যাক করতে মরিয়া।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এমন দাবি ঘিরে সমাজ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। নানান সাক্ষাৎকারে পার্থ জানিয়েছেন, তিনি শিগগির বিধানসভায় যাবেন। তিনি এখনও বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক। তাই বিধানসভায় যাওয়ার তাঁর পূর্ণ অধিকার রয়েছে। পাশাপাশি বেহালা পশ্চিমে প্রতিটি মানুষের বাড়ি বাড়ি যাবেন বলেও জানান তিনি। সব কিছুর উপরেই নজর রাখছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বে। হয়ত মেপে পা ফেলে সাবধানী পদক্ষেপ করতে চলেছে দল।