কালীপুজোর রাতে কোন হাড়হিম করা ঘটনা ঘটে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে?

আদি গঙ্গার তীরে পুজোর সময় বিশেষ দৃশ্য দেখা যায়, শ্মশানকালী পুজোর মন্ত্রধ্বনি ও মৃতদেহ দাহের ধোঁয়া একসঙ্গে মিশে যায়।

October 19, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

 

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কেওড়াতলা মহাশ্মশানে শ্মশানকালীর পুজোর রাতে এক রহস্যময় ও শিহরণ জাগানো পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আদি গঙ্গার তীরে পুজোর সময় বিশেষ দৃশ্য দেখা যায়, শ্মশানকালী পুজোর মন্ত্রধ্বনি ও মৃতদেহ দাহের ধোঁয়া একসঙ্গে মিশে যায়।

ডোমদের মতে, ফি বছর পুজোর রাতে একটি না একটি মৃতদেহ দাহের জন্য এখানে আনা হয়, যা এক অলৌকিক নিয়মের মতোই ঘটে চলেছে। পুজো ও মৃতদেহ সৎকারের অদ্ভুত সহাবস্থানে এক ভীতিকর অনুভূতির সৃষ্টি হয়।

১৮৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই পুজোর বয়স ১৪৯ বছরের পুরনো। সেই সময় থেকে দুই হাত বিশিষ্ট ও জিহ্বাহীন প্রতিমায় পুজো হয়ে আসছে। কাপালিকের আদি রীতি মেনে এখানকার ডোমেরা প্রতি বছর প্রতিমাকে নিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে ফিরে যান এবং শ্মশানে পুজোর আবহের মাঝে পবিত্র মন্ত্র উচ্চারিত হয়। প্রতিমা স্থাপন থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত দাহ ও পুজোর এক সমান্তরাল ধারা চলতে থাকে, যা দেখে স্থানীয়রা বিস্ময় ও শ্রদ্ধার মিশেলে কাঁপতে বাধ্য হন।

জনশ্রুতি রয়েছে, পুজোর সময় চিতা খালি যায় না। কেওড়াতলার শ্মশানকালী পুজোকে ঘিরে একটি অলৌকিক বিশ্বাস ও গা ছমছমে অভিজ্ঞতা ভক্তদের মনে নতুন করে আবির্ভূত হয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen