বাম-কংগ্রেস জোটের ভবিষ্যৎ কোন পথে?

সেই সময়ে বাংলায় দলের ভার অধীরবাবুর মতো কট্টর ‘তৃণমূল-বিরোধী’ নেতার হাতে তুলে দেওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক শিবির।

September 13, 2020 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

দ্বিতীয় বারের জন্য প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। পাশাপাশি তিনি লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা। এই বাড়তি দায়িত্ব যে তাৎপর্যপূর্ণ, তা এক বাক্যে মেনে নিয়েছে রাজনৈতিক মহল।

২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে অধীরবাবু প্রথমবারের জন্য প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হন। দু’বছর আগে অধীরবাবুকে পদ থেকে সরিয়ে আচমকা সোমেন মিত্রকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করেছিল এআইসিসি। অনেকে মনে করেন, সোমেনবাবুকে সভাপতি করে বামেদের বার্তা দিয়েছিল কংগ্রেস। তাই, সোমেনবাবুর প্রয়াণের পর অধীর চৌধুরী আবার সভাপতি হওয়াতে ধন্ধে প্রদেশ কংগ্রেস।

বাংলায় বামেদের সঙ্গে সমঝোতার প্রক্রিয়া শুরু করিয়ে গিয়েছিলেন অধীরবাবু। পরে সোমেনবাবুর হাত ধরে রাজ্য কংগ্রেস সেই পথেই হাঁটছিল। এখন অধীরবাবু আবার প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব পাওয়ায় বামেদের সঙ্গে রাজনৈতিক বোঝাপড়া অব্যাহত থাকবে বলেই দু’পক্ষের নেতাদের ধারণা। বস্তুত, বাংলার কংগ্রেস সম্পর্কে হাইকম্যান্ডের মনোভাব ঠিক কী, হয়তো তার কিছুটা ইঙ্গিত মিলল।

জাতীয় রাজনীতির স্বার্থেই আজ সনিয়া চাইছেন মমতার হাত ধরতে। তা হলে এবার কী করবে রাজ্যের কংগ্রেস? গত দু’বছরে বিজেপি-শাসিত ভারতের রাজনীতি, সমাজ, অর্থনীতি আরও পরিবর্তিত। বিরোধীদের ঐক্য-প্রচেষ্টায় সনিয়ার উদ্যোগ এবং মমতার উপর তাঁর ভরসার ইঙ্গিত তাই স্পষ্ট হচ্ছে। সেই সময়ে বাংলায় দলের ভার অধীরবাবুর মতো কট্টর ‘তৃণমূল-বিরোধী’ নেতার হাতে তুলে দেওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক শিবির।

একুশের আগে রাজনীতির জল কোন দিকে গড়ায়, সেটা সময়ই বলবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen