শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের ১৯০ তম পূণ্য তিথিকে স্মরণীয় করে রাখতে কি উদ্যোগ ডাক বিভাগের?
বেলুড় মঠ বা সংলগ্ন এলাকায় যত চিঠি আসবে বা যাবে, তাতে বেলুড় মঠের সিলমোহরের ছাপ থাকবে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের ১৯০ তম পূণ্য তিথিকে স্মরণীয় করে রাখতে এমনই অভিনব উদ্যোগ নিল ডাক বিভাগ। ডাকঘরের সিলমোহরে থাকবে বেলুড় মঠের ছাপ। বেলুড় মঠ বা সংলগ্ন এলাকায় যত চিঠি আসবে বা যাবে, তাতে বেলুড় মঠের সিলমোহরের ছাপ থাকবে। ইংরেজি ও হিন্দিতে লেখা থাকবে বেলুড় মঠ, বেলুড়, ৭১১২০২ পিন নাম্বার। সঙ্গে তারিখ।
কোনও ডাকঘর থেকে কোথাও চিঠি পাঠাতে হলে এবং সেই এলাকার কোনও ঠিকানায় চিঠি এলে প্রাপকের কাছে পাঠানোর আগে নির্দিষ্ট ডাকঘরের সিলমোহর লাগানো হয়। ডাকটিকিটের ওপরে। সাধারণত ডাকঘরের নাম, পিন নাম্বার এবং তারিখ থাকে, কোনও ছবি থাকে না। স্বামী বিবেকানন্দ প্রতিষ্ঠিত বেলুড় মঠের পরিচিতিতে ব্যতিক্রম উদ্যোগের কথা ভাবে ডাক বিভাগ। প্রথমে ঠিক ছিল বেলুড় মঠ সহ রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দর স্মৃতি বিজড়িত আটটি সৌধ বা মন্দিরের সিলমোহর তৈরি হবে। পরে চূড়ান্ত হয়, বেলুড় মঠের শ্রীরামকৃষ্ণ মন্দিরটিই হবে।
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ মহারাজের পরামর্শও নেওয়া হয়। ঠিক হয়েছিল ১২ জানুয়ারি স্বামীজির জন্মদিনে বিষয়টির শুভারম্ভ হবে। পরে ঠিক হয়, শ্রীরামকৃষ্ণের ১৯০ তম আবির্ভাব তিথি উপলক্ষ্যে আজ, সোমবার রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিক শুভারম্ভ হবে।