লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদ – এর কারণ কী?

বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে প্রথম আইন তৈরি হয়েছিল হামুরাবির শাসনকালে, ব্যাবিলনে। সময়টা ১৭৬০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দ। ফ্রান্সে প্রথম বিবাহ বিচ্ছেদ হয় ১৭৬২ সালে, ভারতে হয় ১৮৬৪ সালে।

August 22, 2024 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদ, সেলেব থেকে আম জনতা; সব্বার ক্ষেত্রেই বাড়ছে বিচ্ছেদের প্রবণতা।

বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে প্রথম আইন তৈরি হয়েছিল হামুরাবির শাসনকালে, ব্যাবিলনে। সময়টা ১৭৬০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দ। ফ্রান্সে প্রথম বিবাহ বিচ্ছেদ হয় ১৭৬২ সালে, ভারতে হয় ১৮৬৪ সালে।

ওয়ার্ল্ড অফ স্ট্যাটিস্টিক্সের দেওয়া তথ্য অনুসারে, পৃথিবীর নিরিখে ভারতে ডিভোর্সের হার সবচেয়ে কম, প্রায় এক শতাংশেরও কম। কিন্তু দেশের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের নিরিখে বাংলার স্থান চতুর্থ, হার ৮.২ শতাংশ। ২০১৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে রাজ্যে মোট ১৪,৫০৯টি বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে। ২০২৩ সালের প্রথম ছ’মাসে রাজ্যে মোট ১৮,২৮৯টি বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে। পরিসংখ্যান চমকে দেওয়ার মতোই।

মনস্তত্ত্ববিদরা বলছেন, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে জীবনযাত্রার মান ও চিন্তা-ভাবনার বদলই বিচ্ছেদের সংখ্যা বাড়ার অন্যতম বড় কারণ। একদা মহিলাদের আর্থিক স্বাধীনতা তুলনমূলকভাবে কম থাকার কারণে তাঁরা বিচ্ছেদের কথা ভাবতেই পারতেন। গার্হস্থ্য হিংসা সহ্য করে তাঁদের সংসার করতে হত। এখন মহিলারা আর্থিকভাবে অনেকে বেশি স্বনির্ভরশীল হওয়ায় তাঁরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন সহজেই।

আলিপুর জাজেস কোর্ট ও কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবি নিবেদিতা রাই জানিয়েছেন, “সঙ্গীদের মধ্যে একে ওপরের প্রতি শ্রদ্ধার অভাব, অবাস্তব প্রত্যাশা এবং অধৈর্য্যের কারণে ডিভোর্সের হার দ্রুত গতিতে বাড়তে। আগে অধিকাংশ বিয়ে হত আপোষের বিবাহ। কিন্তু এখন আর্থিক দৃঢ়তা এবং অধিকার নিয়ে নৈতিক ও আইনি সচেতনার কারণে বিচ্ছেদ বেড়ে গিয়েছে। সমাজেও এখন বিবাহ বিচ্ছেদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে, যার দরুণ ডিভোর্সের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen