বাম-শ্রমিক সংগঠনের ডাকা বন্ধ রুখতে কড়া নির্দেশিকা CPI(M) শাসিত কেরল সরকারের, এ কেমন দ্বিচারিতা?

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি,১১:০০: বাম শ্রমিক ও কৃষক সংগঠন আজ, বুধবার দেশজুড়ে বন্ধ ডেকেছে। মানুষ না চাইলেও বন্ধ পালনে মরিয়া বাম কর্মী, সমর্থকেরা। তাঁরা পথে নেমেছেন বন্ধের সমর্থনে। বাংলাকে সচল রাখতে বদ্ধপরিকর নবান্ন। কিন্তু এই বন্ধ ঘিরে দ্বিচারিতা দেখা গেল বামেদের মধ্যেই! দেশে একমাত্র বাম সরকার চলছে কেরলে। সেই কেরল সরকারই বন্ধ ব্যর্থ করতে উঠে পড়ে লেগেছে। বন্ধের বিরোধিতায় নির্দেশিকা জারি করেছেন বিজয়ন। এ কেমন দ্বিচারিতা বামেদের? উঠছে প্রশ্ন।
বাম-শ্রমিক সংগঠনের ডাকা বন্ধ রুখতে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে CPI(M) শাসিত কেরল সরকার। ৮ জুলাইয়ের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কেরল সরকারের কোনও কর্মী যদি বন্ধের দিন অনুপস্থিত থাকেন তাহলে তাঁদের হাজিরা ‘ডাইস-নন’ হিসেবে গণ্য করা হবে। কেরল সার্ভিস রুল অনুযায়ী, তাঁদের আগস্ট মাসের বেতন কাটা যাবে। আরও বলা হয়েছে, বন্ধের সমর্থনে কেউ যদি সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করে তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাঁরা ‘প্রভিশনল রিকরুটি’, তাঁরা বিনা অনুমতিতে ছুটি নিলে, তাঁদের চাকরি অবধি যেতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়।

ধর্মঘটে বাংলাকে সচল রাখতে চেয়ে বামেদের কাছে সমালোচিত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, পিনারাই বিজয়ন একই কাজ করলেও চুপ বামেরা। উল্লেখ্য, মোদী সরকারের আনা নতুন শ্রম কোডের বিরুদ্ধে এই হরতাল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন বাংলায় তা লাগু হবে না। কিন্তু কেরলের বাম সরকার এখনও শ্রম কোড পুরোপুরি বাতিল করেনি। দ্বিচারিতার অন্ত নেই সেলিম-বিজয়ন-বেবিদের!
যেখানে রাজ্যে রাজ্যে বাম কর্মীরা পথে নেমে জোরপূর্বক বন্ধ পালনে মরিয়া, সেখানে একমাত্র বাম শাসিত রাজ্য কেরলের সরকার খোদ ধর্মঘটের বিরুদ্ধে নেমে গেল? কর্মীদের হাজিরা বাধ্যতামূলক করল? আম জনতা কার্যত অবাক সিপিআইএমের এহেন আচরণে।