সংসদে ‘বন্দেমাতরম’-র সার্ধশতবর্ষের আলোচনায় ঝড় ওঠার সম্ভাবনা, কারা বলবেন?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০:০০: ১৮৭৫ সালে ‘বন্দেমাতরম’ রচনা করেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় অর্থাৎ চলতি বছর হল বন্দেমাতরম’ রচনার সার্ধশতবর্ষ। সেই উপলক্ষ্যে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে বিশেষ আলোচনা চলবে। আজ, সোমবার বন্দেমাতরম গানের সার্ধশতবর্ষের বিশেষ আলোচনায় সংসদে ঝড় ওঠার প্রবল সম্ভাবনা দেখছে দেশের রাজনৈতিক মহল। আজ লোকসভায় ‘বন্দেমাতরম’ নিয়ে হবে বিশেষ আলোচনা শুরু হবে। আগামীকাল রাজ্যসভায় আলোচনা হবে। লোকসভায় বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শেষ করবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। রাজ্যসভায় এই সম্পর্কিত আলোচনা শুরু করবেন অমিত শাহ। শেষ করবেন জেপি নাড্ডা।
‘বন্দেমাতরম’ ঘিরে কীসের বিতর্ক? কেন বিবাদের শঙ্কা? আদতে বিতর্ক ৯ বনাম ৩২ লাইনের। দুটি বনাম ছটি স্তবকের! তাতেই বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসের বিবাদেরই আশঙ্কা চরমে। বিজেপির অভিযোগ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। বন্দেমাতরম গানের ছটি স্তবক গাওয়া হয় না? কংগ্রেস কেন বাদ দিয়েছে শেষ চারটি স্তবক? এই নিয়েই সুর চড়াচ্ছে বিজেপি।
কংগ্রেসের যুক্তি, গান্ধীজি, নেতাজি, সর্দার প্যাটেল, জওহরলাল নেহরুর মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীরা কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেই দুটি স্তবক গাওয়ার কথা ঠিক করেছিলেন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতায় ১৮৮৬ সালে কংগ্রেস অধিবেশনে বন্দেমাতরম গেয়েছিলেন। ‘বন্দে মাতরম’ স্লোগান হিসেবে গৃহীত হয় ১৯০৫ সালের ৭ আগস্ট। ফলে সংঘাতের আবহে পুরোদস্তুর।
লোকসভায় বন্দেমাতরমের আলোচনায় কংগ্রেসের তরফে অংশ নেবেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং উপদলনেতা গৌরব গগৈ। তৃণমূলের তরফে বক্তব্য রাখবেন দলের লোকসভার মুখ্যসচেতক কাকলি ঘোষদস্তিদার। তৃণমূলের পক্ষে মহুয়া মৈত্রও বলবেন। আগামীকাল রাজ্যসভায় এই বিশেষ আলোচনায় বাংলার শাসক দলের তরফে বক্তা হিসাবে অংশগ্রহণ করবেন সুখেন্দুশেখর রায় এবং ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।