কে হবে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ? চূড়ান্ত গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বঙ্গ বিজেপিতে
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দলের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হবেন, তা নিয়ে বিবাদ চরমে। সক্রিয় হচ্ছে বাবুল সুপ্রিয় বনাম দিলীপ ঘোষ গোষ্ঠী।
গত বছর লোকসভা ভোটে চরম সাফল্যের পর যেমন দিনে দিনে বেড়েছে আত্মবিস্বাস, তেমনি এই মুহূর্তে বঙ্গ বিজেপি দেখছে দক্ষিণপন্থী দলের চিরাচরিত এক সমস্যা – গোষ্ঠীদ্বন্দ। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দলের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হবেন, তা নিয়ে বিবাদ চরমে। সক্রিয় হচ্ছে বাবুল সুপ্রিয় বনাম দিলীপ ঘোষ গোষ্ঠী।
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, বাবুলই মুখ্যমন্ত্রীর পদের যোগ্য দাবিদার। তিনি আসানসোলের মত অবাঙালী অধ্যুষিত অঞ্চল থেকে পরপর দুবার সাংসদ হয়েছেন। লোকে কটাক্ষ করে হাফ প্যান্ট মন্ত্রী বললেও, তিনি দুবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। এই স্বীকৃতি স্বয়ং এত বছরের আরএসএস সদস্য দিলীপ ঘোষকেও দেয়নি বিজেপি।

এছাড়া, বহু বছর ধরে বাবুল আছেন দেশের সাংস্কৃতিক জগতের সঙ্গে জড়িয়ে, নিজস্ব ফ্যানবেস আছে তাঁর। ন্যাশানাল চ্যানেলের টকশোতে তিনিই বঙ্গ বিজেপির মুখ। ইংরিজির পাশাপাশি হিন্দি ও বাংলাতেও সাবলীল তিনি। অন্যদিকে, দিলীপ ঘোষ গরুর দুধে সোনা খুঁজে পান, সহজ পাঠের লেখক বলেন বিদ্যাসাগরকে, মান্না দের গানকে কিশোর কুমারের বলে অফিসিয়াল হ্যান্ডেল থেকে ট্যুইট করেন।
এছাড়া, দিলীপ ঘোষের বাংলা ভাষা, উচ্চারণ বা, লেখা অনেক অবাঙালীর থেকেও খারাপ। বিভিন্ন উস্কানিমূলক বক্তব্য বা অসাংবিধানিক শব্দের ব্যবহার তো ওনার রোজকার ব্যাপার। যার জন্য বহুবার আইন বিভ্রাটে পড়েছেন তিনি। বিজেপির অলিন্দে কান পাতলে শোনা যায়, বাবুল সুপ্রিয় গোষ্ঠীর অন্যতম পৃষ্ঠপোষক হলেন কৈলাস বিজয়বর্গী। পাশাপাশি রাজ্যসভা সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তও বাবুলের পাশে। আর কানাঘুষোয় শোনা যায়, মুকুল রায়ও দিলীপের চেয়ে বাবুলের দিকেই বেশি ঝুঁকে।
২০২১ এর নির্বাচন আসতে এখনও বেশ কিছুটা দেরি। তার আগে, ক্ষমতার লড়াইয়ে যে মুরলীধর সেন লেন তপ্ত হয়ে উঠছে, তা বলাই বাহুল্য।