নতুন উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে কাকে চাইছে BJP-RSS?
স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) তাঁর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি ১২.০০: স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) তাঁর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। ধনখড় পদত্যাগ করাতে আবারও উপ রাষ্ট্রপতি (Vice President) পদে নির্বাচন হবে। কে হবেন নতুন উপ রাষ্ট্রপতি? তা নিয়েই এখন চলছে জল্পনা।
সংযুক্ত জনতা দলের (JDU) এমপি হয়ে একসময় রাজ্যসভার উপ সভাপতি হয়েছিলেন হরিবংশ নারায়ণ সিং। নীতীশ কুমারের সঙ্গে বিজেপির (BJP) সম্পর্কের অবনতি হওয়ার পর তিনি দলের ওই এমপিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, উপ সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিতে। কিন্তু নিজের দলের সর্বোচ্চ নেতাকেই অগ্রাহ্য করে হরিবংশ পদে থেকে যান এবং বিজেপি তথা মোদী সরকারের প্রতি পূর্ণ আনুগত্য প্রকাশ করেন। তাই জগদীপ ধনকারের জায়গায় রাজ্যসভা পরিচালনায় অভিজ্ঞ হরিবংশকেও প্রার্থী করে জিতিয়ে এনে বিজেপি উপ রাষ্ট্রপতি করতে পারে বলে একটি জল্পনা শুরু হয়েছে।
যদিও এই জল্পনা বাস্তবায়িত হওয়ার সম্ভাবনা আদৌ কতটা আছে সেটা নিয়ে সংশয় আছে। কারণ, উপ রাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান পদে বিজেপি আর কোনও ভুল করতে চায় না। অর্থাৎ সরাসরি বিজেপি এবং সঙ্ঘের কাউকেই বসানো হোক, এই অভিমতেই সিলমোহর পড়তে চলেছে। হরিবংশ যতই সরকারের আস্থা অর্জন করুন, ঘরের লোক নন। তাই একবার ধনকারকে নিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা হওয়ার পর দ্বিতীয়বার ‘বেলতলায়’ বিজেপি যাবে বলে মনে হয় না। এ প্রসঙ্গেই আলোচনায় উঠে আসছে দুই বিজেপি নেতার নাম। বিশ্বস্ত সূত্রে খবর, মধ্যপ্রদেশের দলিত নেতা তথা বর্তমানে কর্ণাটকের রাজ্যপাল থাওয়ার চাঁদ গেহলট অথবা রাজস্থানের রাজ্যসভার প্রাক্তন সদস্য তথা বর্তমানে সিকিমের রাজ্যপাল ওমপ্রকাশ মাথুরকে পরবর্তী উপ রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করতে পারে বিজেপি।
উপ রাষ্ট্রপতি রাজ্যসভার চেয়ারম্যানও হন। যদি কোনও কারণে রাষ্ট্রপতির পদ খালি থাকে, তাহলে উপ রাষ্ট্রপতিও তাঁর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কেবল লোকসভা এবং রাজ্যসভার সাংসদরা উপ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। মনোনীত সদস্যরাও এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। যেখানে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সমস্ত রাজ্যের লোকসভার সাংসদ এবং বিধায়করা ভোট দেন। রাজ্যসভার ২৪৫ জন সাংসদ এবং লোকসভার ৫৪৩ জন সাংসদ এতে অংশগ্রহণ করেন। রাজ্যসভার সদস্যদের মধ্যে ১২ জন মনোনীত সাংসদও অন্তর্ভুক্ত। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থার মাধ্যমে উপ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ভোটদান একটি বিশেষ পদ্ধতিতে করা হয়, যাকে একক স্থানান্তরযোগ্য ভোট ব্যবস্থা বলা হয়। একজন ভোটারকে শুধুমাত্র একটি ভোট দিতে হয়, তবে তাঁকে তাঁর পছন্দের ভিত্তিতে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করতে হয়। ব্যালট পেপারে, ভোটারকে প্রথম পছন্দের জন্য অগ্রাধিকার নির্ধারণ করতে হয় ১, দ্বিতীয়টি ২ ইত্যাদি।