হঠাৎ সাংসদরা দিল্লিতে কেন? জল্পনা বঙ্গ বিজেপির অন্দরেই
বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের মাসখানেকেরও বেশি কেটে যাওয়ার পর মঙ্গলবার কলকাতায় রাজ্য বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠক হয়েছে। তারপরই সটান দিল্লিতে উড়ে এসেছেন বঙ্গ বিজেপির তিনজন সংসদ সদস্য।

বিধানসভা নির্বাচনে চরম বিপর্যয়ের পর কি বঙ্গ বিজেপিতে ক্রমশ মাথাচাড়া দিচ্ছে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও ঝগড়া? তৃণমূলে ফেরার উল্টো স্রোতের মধ্যেই দলের ভিতরে তৈরি হচ্ছে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি রাজনৈতিক সমীকরণ? অন্তত বুধবার দিনভর দিল্লিতে রাজ্য বিজেপির কিছু নেতার গতিপ্রকৃতি বিশ্লেষণ করে এই প্রশ্নই তুলছে রাজনৈতিক মহল। বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের মাসখানেকেরও বেশি কেটে যাওয়ার পর মঙ্গলবার কলকাতায় রাজ্য বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠক হয়েছে। তারপরই সটান দিল্লিতে উড়ে এসেছেন বঙ্গ বিজেপির তিনজন সংসদ সদস্য। নিশীথ প্রামাণিক, অর্জুন সিং এবং সৌমিত্র খাঁ। অন্যদিকে, কলকাতায় বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ডাকা সাংগঠনিক বৈঠকে উপস্থিত না থেকে মঙ্গলবার থেকেই দিল্লিতে রয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
গোটা বিষয়টি যে খুব সহজ পথে চলছে না, তা মালুম হয়েছে দিলীপবাবুর কথাতেই। সামগ্রিক বিষয়টি নিয়ে তিনি ফোনে বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে এমপিরা দিল্লি যান। তবে এঁরা কেন গিয়েছেন, জানি না। দিল্লিতে দলের কোনও সাংগঠনিক বৈঠক ছিল না, এটুকু বলতে পারি।’ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা প্রকাশ্যে বলেছেন, ‘দিলীপদার সঙ্গে দিল্লি আসার ব্যাপারে আমার সরাসরি কথা হয়নি। তবে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীকে জানিয়েছি।’ মঙ্গলবার দিনভর অমিত শাহ সহ কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। রাজ্যের বিভিন্ন পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও। এদিন বিকেলেও ফের তিনি দেখা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে। তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, দিনভর এই কর্মসূচির ফাঁকেই বুধবার রাজ্য বিজেপির দুই সংসদ সদস্য অর্জুন সিং ও সৌমিত্র খঁা-য়ের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বৈঠক হয়েছে সৌমিত্রর দিল্লির নর্থ অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাটে। সেই বৈঠকে অবশ্য নিশীথ প্রামাণিক হাজির ছিলেন না। বিরোধী দলনেতা অবশ্য বলেছেন, ‘এমপিরা দিল্লিতে আসতেই পারেন। এর মধ্যে বিশেষ কোনও ব্যাপার নেই। তবে এসেছেন যখন, রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়েই তাঁদের সঙ্গে কথা হবে। দিলীপদা সামনে থেকে দলকে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়েই লড়াই চলবে।’