কেন গোপন রাখা হচ্ছে মোদীর স্নাতক ডিগ্রী? আদালতের রায়ের পর প্রশ্ন তৃণমূলের

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডিগ্রি নিয়ে বিতর্কের মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলে। এক্স হ্যান্ডেলে (X) তিনি লেখেন, “ভারতে সাধারণ মানুষকে প্রতি বছর ‘কেওয়াইসি’-র নামে ব্যাংক নানারকম নথি চাইবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নিজেই যে ডিগ্রিটি দাবি করছেন, সেটি আসলেই আছে কিনা তার প্রমাণ দেখানোর ক্ষেত্রে তিনি ছাড় পাচ্ছেন। মোদীর ডিগ্রি না থাকলেও তাতে খুব একটা সমস্যা নেই। কিন্তু যদি তিনি এ বিষয়ে মিথ্যা বলে থাকেন, সেটিই আসল লজ্জার।”

August 25, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:৪৫: দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) স্নাতক ডিগ্রি প্রকাশ্যে আনতে হবে না। সোমবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সচিন দত্তের বেঞ্চ (Single Bench) এই রায় দেয়। আদালত জানায়, এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি পরে প্রকাশ করা হবে।

এই রায়ের পর তৃণমূল সাংসদ সাগরিকা ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তোলেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “দেড়শো কোটিরও বেশি মানুষের গণতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা একজন নেতার কলেজের ডিগ্রি (Narendra Modi Degree) কেন গোপন রাখা হচ্ছে? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডিগ্রি লুকিয়ে রেখে এই ‘নো ডেটা অ্যাভেইলেবল’ সরকার আসলে কী আড়াল করতে চাইছে?”

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডিগ্রি নিয়ে বিতর্কের মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলে। এক্স হ্যান্ডেলে (X) তিনি লেখেন, “ভারতে সাধারণ মানুষকে প্রতি বছর ‘কেওয়াইসি’-র নামে ব্যাংক নানারকম নথি চাইবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নিজেই যে ডিগ্রিটি দাবি করছেন, সেটি আসলেই আছে কিনা তার প্রমাণ দেখানোর ক্ষেত্রে তিনি ছাড় পাচ্ছেন। মোদীর ডিগ্রি না থাকলেও তাতে খুব একটা সমস্যা নেই। কিন্তু যদি তিনি এ বিষয়ে মিথ্যা বলে থাকেন, সেটিই আসল লজ্জার।”

আরও পড়ুন: মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রকাশ্যে আনা হবে না? CIC-র নির্দেশ খারিজ দিল্লি হাইকোর্টের

প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর হলফনামায় দাবি করেছেন, ১৯৭৮ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। কিন্তু ২০১৬ সালে তথ্য জানার অধিকার আইনে জমা হওয়া এক আবেদনে ওই বছরের স্নাতকদের শিক্ষাগত নথি প্রকাশের দাবি উঠেছিল। বিশ্ববিদ্যালয় তা খারিজ করে জানায়, তৃতীয় পক্ষকে এই ধরনের তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়।

তখন কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন বিশ্ববিদ্যালয়কে নথি প্রকাশ করতে নির্দেশ দেয়। কমিশনের যুক্তি ছিল, একজন জনপ্রতিনিধির শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য জনগণের কাছে থাকা উচিত। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় সেই নির্দেশের বিরুদ্ধেই হাইকোর্টে যায়।

সরকারের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল যুক্তি দেন, নথি প্রকাশ হলে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর গোপনীয়তা ক্ষুণ্ণ হতে পারে। প্রয়োজনে আদালতের কাছে নথি জমা দিতে আপত্তি নেই, তবে বাইরে প্রকাশ করা উচিত নয়।

তথ্য অধিকার কর্মীরা পাল্টা বলেন, ডিগ্রি সরকারই প্রদান করে, তাই সেটি ব্যক্তিগত তথ্য নয়। আবেদনকারীর পরিচয় বা উদ্দেশ্য আরটিআই (RTI) আইনে প্রাসঙ্গিক নয়।

দীর্ঘ প্রায় এক দশক ধরে মামলার টানাপড়েন চলার পর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রায় সংরক্ষণ করা হয়েছিল। অবশেষে সোমবার স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রধানমন্ত্রীর স্নাতক ডিগ্রি প্রকাশ্যে আনার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। তবে আবেদনকারী চাইলে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court of India) যেতে পারবেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen