কেন তৈরি হয়নি ইন্দো-ভুটান রিভার কমিশন? উত্তরবঙ্গ বিপর্যয়ে কেন্দ্রকে তোপ তৃণমূলের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০.২০: সিকিম, ভুটানের জলে উত্তরবঙ্গের একাধিক নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে।
যার জেরে আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি। খবর মিলেছে, এখনও পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সোমবার যাচ্ছেন সেখানে। বিপর্যয় মোকাবিলায় পথে নেমেছে রাজ্য সরকার, দলীয়ভাবে নেমেছে তৃণমূল কর্মী, সমর্থকেরা। এই বিপর্যয়ের জন্য কেন্দ্রকে দুষছে তৃণমূল।
তৃণমূলের দাবি, মোদী সরকারের উদাসনীতার কারণেই এই বিপর্যয়। রাজ্য সরকারের তরফে বার বার বলা সত্ত্বেও ইন্দো-ভুটান রিভার কমিশন তৈরি করেনি কেন্দ্র। রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নের জবাবে জলশক্তি মন্ত্রকের মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, ইন্দো-ভুটান রিভার কমিশন বাস্তবায়নের কোনও পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রের। আজ, রবিবার দুর্যোগ পরিস্থিতিতে তৃণমূল সাংসদের প্রশ্ন, ‘‘ইন্দো-বাংলাদেশ রিভার কমিশন রয়েছে, ইন্দো-ভুটান রিভার কমিশন কেন থাকবে না? এটা প্রয়োজনীয়।”
ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ভুটান পাহাড়ে বৃষ্টির ফলে রায়ডাক, সংকোশের মতো নদীর জল বেড়েছে। তাতেই বানভাসি হয়েছে উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ এলাকার। গত ১১ আগস্ট ঋতব্রত, রাজ্যসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে জলশক্তি মন্ত্রকের কাছে জানতে চেয়েছিলেন যে; ইন্দো-ভুটান রিভার কমিশন নিয়ে কী ভাবনা রয়েছে। তাতে মন্ত্রী সিআর পাটিল লিখিতভাবে জানিয়ে দেন, কোনও ভাবনা নেই।
ঋতব্রত বলেন, ‘‘ইন্দো-ভুটান নদীগুলি যেমন রায়ডাক, সংকোশের জলে প্লাবিত হয়ে উঠেছে উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গা। ভুটান, সিকিমের বৃষ্টিতে বাংলার মানুষ ডুবছে। সেই কারণে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে ইন্দো-ভুটান রিভার কমিশন বাস্তবায়িত করা জরুরি। তাহলে নদীর জল নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। যদি কমিশন থাকত, তাহলে এতটা দুরবস্থা হতো না আজ। আসলে এটাও বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা। বাংলাকে ডোবানো বিজেপির রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।”