লক্ষদ্বীপে ‘স্বৈরাচার’ মোদির প্রতিনিধির, ক্ষোভে ফুঁসছে মানুষ

২০২০ সালে প্রশাসকের ভূমিকায় আসার পর থেকেই এই মুসলমান প্রধান অঞ্চলে একের পর এক স্বৈরাচারী নীতি প্রনয়ণ করে চলেছেন।

May 25, 2021 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

লক্ষদ্বীপের প্রশাসক প্রফুল্ল খোদা প্যাটেলের বিরুদ্ধে লক্ষদ্বীপ (Lakshadweep) এবং কেরলের বিরোধী দলগুলি সোচ্চার হয়ে উঠেছে। কারণ তিনি ২০২০ সালে প্রশাসকের ভূমিকায় আসার পর থেকেই এই মুসলমান প্রধান অঞ্চলে একের পর এক স্বৈরাচারী নীতি প্রনয়ণ করে চলেছেন।

বিতর্কিত বিধিগুলির মধ্যে একটি লক্ষদ্বীপ ডেভলপমেন্ট অথরিটি রেগুলেশন ২০২১, তাতে বলা হয়েছে নগর পরিকল্পনা এবং উন্নয়নের স্বার্থে যেকোনো দ্বীপবাসীকে তার সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করা যেতে পারে। দ্বিতীয়, প্রিভেনশন অফ অ্যান্টি সোশ্যাল অ্যাক্টিভিজ অ্যাক্ট- যেকাউকে এক বছরের জন্যে নির্বাসিত করা যেতে পারে, বিষয়টিকে একেবারে প্রকাশ্যে না এনেই। এবং তৃতীয়, পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে নিয়ম আনা হয়েছে, যে কোন পঞ্চায়েত সদস্যর যদি দুটির বেশি সন্তান থাকে তাহলে তার সদস্যপদ বাতিল হবে।

কেরলের সাংসদ এলামারাম করিম রাষ্ট্রপতি কোবিন্দকে প্রফুল্ল খোদা প্যাটেলের স্বৈরাচারীতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন। লক্ষদ্বীপের স্থানীয় সাংসদ মহম্মদ ফ্যায়জাল প্যাটেলের নীতির বিরোধীতা করে দাবি করেছেন, প্যাটেলের জন্যেই জানুয়ারি থেকে ৩০০ জন মানুষ কাজ হারিয়েছেন।

দ্বীপপুঞ্জের স্থানীয় মানুষরাও প্রশাসকের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এবছরের জানুয়ারিতেই করোনার প্রথম ঢেউ আঘাত করে লক্ষদ্বীপকে। আর সেই সময়ই এইসব স্বৈরাচারী নীতি প্রনয়ণ করা হয়, ফলে মানুষের ক্ষোভ আরও বহুগুণ বেড়ে যায়।

লক্ষদ্বীপের জনসংখ্যা মাত্র ৭০, ০০০। এখানে প্রথম করোনা আক্রান্তের হদিশ মেলে ২০২১, এর জানুয়ারিতে। কিন্তু মে ২৪- এর মধ্যেই সেই সংখ্যা ৬, ৮৪৭। ২৪ জন ইতিমধ্যেই করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন।

একদা মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রীসভার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রফুল্ল খোদা প্যাটেলের এই আচরণে অনেকেই আশংকা করছেন যে লক্ষদ্বীপকেও কাশ্মীর বানানোর চক্রান্ত চলছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen