একুশে জুলাই তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন দিলীপ ঘোষ?
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭:৩০: প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর সভা আর তারপর অমিত শাহের সফরে ব্রাত্য বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রধানমন্ত্রীর সভায় অনুপস্থিতির কারণ জানতে চাইলে তিনি জানিয়েছিলেন, আলিপুরদুয়ারের পদাধিকারী না হওয়ায় তিনি ডাক পাননি, কলকাতায় কোনও কর্মসূচি হলে থাকবেন। কিন্তু অমিত শাহর নেতাজি ইনডোরের সভায়ও নাকি আমন্ত্রণ পাননি দিলীপ বাবু। অথচ এই সভায় রাজ্যস্তরের অন্য নেতারা, রাজ্য কমিটির সাধারণ সদস্যেরাও ডাক পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণ করতে গিয়ে সাংবাদিকরা দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করেন যে, অমিত শাহ আসছেন, তিনি কি সেখানে যাবেন না? তাঁকে কি আদৌ ডাকা হয়েছে? আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন যে তিনি যাবেন না, বড় নেতারা না ডাকলে তিনি যান না। বড় নেতাদের মান সম্মান আছে। তারা যাদের ডাকেন, তারা যায়। তিনি প্রয়োজনে যান। তাঁর প্রয়োজন হয় না। নিজে সংগঠনের কাজ করেন, প্রয়োজন পড়লে তারা ডাকেন। কি করতে হবে বলেন। তিনি তা পালন করি মাত্র। তিনি গিয়েছিলেন। যখন সভাপতি ছিলেন। এখন অন্যরা দায়িত্ব সামলাচ্ছে। তিনি কার্যকর্তার বৈঠকে থাকবেন।
প্রাক্তন সভাপতির অনুপস্থিতি নিয়ে কিন্তু মুখ খুলতে নারাজ দলের নেতারা। তবে, অনুপস্থিতির কারণ যে দীঘার জগন্নাথ মন্দিরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই বিতর্কের মাঝেই কোন এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে মমতা সম্পর্কে ভালো কথা বলতেও শোনা গেছে তাঁকে। ‘দুর্নীতি’ প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘ক্লিনচিট’ দেওয়া, সাম্প্রদায়িক তোষণের অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীকে দোষী বলতে না চাওয়া যে দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতারা ভালোভাবে নেয়নি তা এখন বেশ স্পষ্ট। স্বাভাবিকভাবেই মনে করা হচ্ছে, বঙ্গ বিজেপিতে তাঁর অবস্থা বিশেষ সুবিধের নয়।
বঙ্গ রাজনীতিতে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত যে দিলীপের হাত ধরেই সেকথা অস্বীকার করার উপায় নেই। সামনেই ২১ জুলাই, তৃণমূলের শহীদ দিবস। প্রতিবারই বেশ কিছু চমক থাকে এই অনুষ্ঠানে। এবার সেই অনুষ্ঠানের চমক কি বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি হবেন, এমন কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে চারদিকে। দিলীপ বাবু আগামীদিনে কি এভাবেই বঙ্গ বিজেপিতে একজন অতিসাধারণ কর্মী হিসেবে থাকবেন না ফুল বদল করবেন সেই বার্তার অপেক্ষাতেই গোটা বঙ্গ রাজনীতি।