মিলে গেল দৃষ্টিভঙ্গির ভবিষ্যদ্বাণী! শমীকের হাতে বঙ্গ বিজেপি’র ব্যাটন, এবার মিটবে গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব?
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্য বিজেপির নয়া সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। বুধবার মনোনয়ন পেশ করেন। আর কেউ মনোনয়ন দেননি।
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:১৬: অবশেষে বঙ্গ বিজেপি’র অচলায়তন অবস্থার অবসান ঘটল বলা চলে। কারণ, দীর্ঘ জল্পনা-কল্পনার পরে নতুন রাজ্য সভাপতির নাম চূড়ান্ত হয়েছে। দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh), সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) পর রাজ্য বিজেপির (BJP) ব্যাটন রাজ্য সভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের হাতে উঠছে। এরকমটাই যে ঘটতে চলেছে তা বেশ কয়েকদিন ধরেই বলে আসছিল ‘দৃষ্টিভঙ্গি’। বুধবার সেই ভবিষ্যদ্বাণী কার্যত মিলে গেল।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্য বিজেপির নয়া সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। বুধবার মনোনয়ন পেশ করেন। আর কেউ মনোনয়ন দেননি। তাই বিনা লড়াইয়ে সুকান্ত মজুমদারের জুতোয় পা গলালেন বিজেপির ‘আদিকর্মী’ শমীক।
আরও পড়ুন: Samik Bhattacharya: বঙ্গ বিজেপির মাথায় ‘বিতর্কিত’ সুবক্তা শমীক?
প্রতিবেদনের শুরুতেই অচলায়তন অবস্থার অবসান, এই কথাটি লেখার কারণ, হল বিজেপির রাজ্য সভাপতি নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরেই চলছিল জটিলতা। আদি বনাম নব্য বিজেপির মধ্যে এই পদটি নিয়ে দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছিল। অনেকে মনে করছিলেন ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বোধ হয় কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। অবশেষে সেই জল্পনার আর কোনও অবকাশ থাকল না তা বলাই চলে।
এখন প্রশ্ন, বিধানসভা ভোটের আগে গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের রোগ কি সারাতে পারবেন শমীক?
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের পরিস্কার বক্তব্য, শমীকে কার্যত ‘বলির পাঠা’ করা হল। কারণ, রাজ্যে বিজেপি’র সংগঠনের যা অবস্থা তাতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ৫০টি আসনও তাদের ভাগ্যে জুটবে না। ফলে তার সব দায় নিতে হবে শমীককেই। উল্লেখ্য গত ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে ৭৭টি আসন জিতে প্রধান বিরোধী দল হয় বিজেপি।
বঙ্গ বিজেপি’র নতুন রাজ্য সভাপতি নির্বাচন প্রসঙ্গে সিপিএমের তরুণ মুখ তথা এসএফআই-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য দৃষ্টিভঙ্গিকে বললেন, শমীক বাবুকে অভিনন্দন। ওনার দলীয় দায়িত্ব বাড়ল। তবে বিজেপি’র রাজনীতি, আরএসএসের রাজনীতি সাধারণভাবে ঘৃণাভিত্তিক। তারা ঘৃণা ছড়ানো, সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে ঝগড়া লাগানো এবং গরীব মানুষের রুটিরুজিতে টান দেওয়ার রাজনীতি করে। সেই রাজনীতির সাথে আমাদের যে বিরোধ তা থাকবে, মনে হয় না বাংলার মানুষের খুব কিছু যাবে আসবে বিজেপি’র মতো প্রত্যাখ্যাত দলের নেতা কে হল বা না হল সেই বিষয়ে।