বাংলাকে ভাতে মারার ফন্দি, মোদী সরকারের টালবাহানায় পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা পাবে না রাজ্য?

May 30, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
ছবি সৌজন্যে: alamy.com

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:০০: লাগাতার বাংলার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ চালাচ্ছে মোদী সরকার। রাজ্য সরকারের অভিযোগ, কেন্দ্রের বঞ্চনার শিকার বাংলা। নেপথ্যে রয়েছে রাজনৈতিক স্বার্থ, এমনটাই বলেন বাংলার শাসক দলের নেতারা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে কখনও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ, আবার কখনও হাজারও শর্ত চাপিয়ে রাজ্যের ন্যায্য প্রাপ্য আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। সাফ কথায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের অভিযোগ, বাংলাকে ‘ভাতে মারার’ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এবার বাংলকে কোণঠাসা করতে টালবাহানার রাজনীতির অভিযোগ উঠছে। যার জেরে বাংলার পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের প্রায় এক হাজার কোটি টাকা পাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

চলতি অর্থ বছরে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। কিন্তু এই খাতে নগরোন্নয়নের টাকা ছাড়ার ক্ষেত্রে গড়িমসি চালিয়ে যাচ্ছে মোদী সরকার। ১০ লক্ষের কম জনসংখ্যার পুরসভাগুলির জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পেতে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের রীতিমতো নাজেহাল অবস্থা। এক মাস আগে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট ও সমস্ত নথি সহ আবেদন জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি। বৃহস্পতিবার রাজ্যের তরফে আবারও চিঠি পাঠানো হয়। কেন্দ্রের ঢিলেমির জেরে রাজ্যের প্রাপ্য প্রায় এক হাজার কোটি টাকার হাতছাড়া হতে বসেছে। কারণ, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ শেষ হয়ে গেলে আর কোনও রাজ্যকে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে না কেন্দ্রের।

উল্লেখ্য, চলতি অর্থবর্ষের মেয়াদ আর ১০ মাস। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা যদি কেন্দ্র জুন মাসেও দেয়, তাহলে চলতি অর্থবর্ষে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের দু’টি কিস্তির টাকা পাওয়া যাবে। একবার টাকা পাওয়ার পর পরের কিস্তির দাবি জানাতে অন্তত তিন মাস সময় লাগে। ফলে ২০২৫-২৬ সালের প্রাপ্য পাওয়ার আশা কার্যত নেই।

পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা দিতে রাজ্যের পুরসভাগুলিকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১০ লক্ষের বেশি জনসংখ্যার পুরসভাগুলি মিলিয়ন প্লাস সিটি বলা হচ্ছে। যেমন কলকাতা, হাওড়া এবং আসানসোল পুরসভা। বাকি সমস্ত পুরসভা নন মিলিয়ন প্লাস সিটি। এই পুরসভাগুলিকে এ পর্যন্ত ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের প্রথম কিস্তির টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। একাধিক পুরসভা তাতেও বঞ্চিত হয়েছে। কারণ, ৮৮টি পুরসভার জন্য প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচন না হওয়ার কারণ দেখিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছিল বালি, দুর্গাপুর সহ ১৪টি পুরসভার বরাদ্দ। রাজ্যের জিএসডিপি বৃদ্ধির হারের তুলনায় সম্পত্তি কর আদায়ের হার কম হওয়ায় আটকে দেওয়া হয়েছিল ২৬টি পুরসভার টাকা। ১৬টি পুরসভা পরে এ’শর্ত পূরণ করে। ফলে ৮৮টি পুরসভার জন্য ২০২৩-২৪ সালের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা চাওয়ার চিঠিতে, শর্ত পূরণ করা ১৬টি পুরসভার দু’টি কিস্তির টাকাও চাওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে দ্বিতীয় কিস্তিতে মোট ৫২০ কোটি টাকা পাওয়ার কথা। এখন দেখা কবে সেই টাকা কেন্দ্র ছাড়ে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen