Winter Session of Parliament: ‘SIR’ থেকে ‘বন্দে মাতরম’, কোন কোন ইস্যুতে তপ্ত হতে চলেছে সংসদ?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:৩০: আসন্ন ১ ডিসেম্বর শুরু হতে চলেছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। চলবে তিন সপ্তাহ। অধিবেশন শুরুর আগেই রাজনৈতিক রণাঙ্গন চরমে পৌঁছেছে। এই আবহে মোদী সরকার বহুমাত্রিক আইন প্রণয়ন ও ফ্লোর ম্যানেজমেন্টের কৌশল চূড়ান্ত করেছে।
অধিবেশনের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে চলেছে বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR), ‘বন্দে মাতরম’-কে ঘিরে আলোচনা। উল্লেখ্য, অন্যদিকে সংসদে শীতকালীন অধিবেশনের আগে রীতিমতো বুলেটিন প্রকাশ করে রাজ্যসভার সচিবালয় জানিয়ে দিয়েছে, সংসদে দেওয়া যাবে না জয় হিন্দ বা বন্দেমাতরম স্লোগান।
তাছাড়া বলা যাবে না, থ্যাঙ্ক ইউ, থ্যাঙ্কস জাতীয় শব্দ! সাংসদদের জন্য আরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সংসদ কক্ষে এমনকী গোটা চত্বরে কোনও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন চলবে না। এটি শালীনতা (ডেকোরাম) বিরুদ্ধ। ফলে স্বাভাবিকভাবে কেন্দ্রের এই ফতোয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে তৃণমূল, ডিএমকে, সপা, কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। এ ব্যাপারে বিরোধী শিবির জোরদার প্রতিবাদের প্রস্তুতি নিতে চলছে বলে জানা গিয়েছে।
এছাড়াও, SIR ইস্যুতেও সরগম হবে সংসদ এমনটাই খবর মিলেছে। ইতিমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস SIR-কে “কেন্দ্রের ষড়যন্ত্র” হিসেবে বর্ণনা করেছে এবং আজ নির্বাচন কমিশনের (Election Commission Of India) সঙ্গে দেখা করবে। আগামী বছর বাংলায় ও তামিলনাড়ুতে বিধানসভা নির্বাচন থাকায় TMC ও DMK ভোটার লিস্টে কারচুপি ও বুথ বাড়ানোর অভিযোগ তুলছে। উত্তরপ্রদেশে সপা SIR-এর “ত্রুটি” নিয়ে আন্দোলন করেছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের (Rajnath Singh) বাসভবনে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অধিবেশন পরিচালনা সংক্রান্ত সরকারের কৌশল ঠিক করা হয়। পাশাপাশি সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju) রবিবার সর্বদলীয় বৈঠক ডাকছেন, বিরোধীদের সহযোগিতা পাওয়ার লক্ষ্যে। মোদী সরকার (Modi Govt) বন্দে মাতরমের ১৫০ বছর উপলক্ষে সংসদে একটি বিশেষ স্মারক আলোচনার উদ্যোগ নিচ্ছে এবং গানটির পূর্ণাঙ্গ মূলপাঠ পেশ করার পরিকল্পনা করেছে।
সূত্রের খবর, পারমাণবিক শক্তি আইন সংশোধনী ও উচ্চশিক্ষা কমিশন অব ইন্ডিয়া গঠন এবং চণ্ডীগড়কে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে নিয়ে সংবিধান সংশোধনী সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিল। কেন্দ্রের প্রস্তাবিত এই তিনটি বিল নিয়ে বিরোধীরা আগেই আপত্তি জানিয়েছে। এছাড়া সরকার কর্পোরেট আইন এবং পুঁজিবাজারসহ মোট ১০টি গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশ করতে চায়।
বেকারত্ব এবং দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলের বাড়তে থাকা দূষণ নিয়েও উত্তপ্ত বিতর্ক তৈরি হতে পারে। পাশাপাশি শাসনব্যবস্থা, জনকল্যাণ ও বৃহত্তর নীতিগত বিষয় নিয়ে তর্ক-বিতর্ক তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা। শীতকালীন অধিবেশন শুরুতেই যে উত্তেজনা প্রবল হতে চলেছে, সরকারের কৌশল এবং বিরোধীদের প্রস্তুতিতে তা ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।