কেন দেশ থেকে ১.১৪ লক্ষ কোটি টাকা প্রত্যাহার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের? বিরোধীদের প্রশ্নে নিরুত্তর কেন্দ্র
সীতারামন জানান, বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ কত, তা ইতিমধ্যেই নির্ধারণ করা হয়েছে। এই বিদেশি বিনিয়োগের মধ্যে যেমন বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তেমন, বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।

সোমবার লোকসভায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়ে দিলেন, প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ টানায় ভারত ধারাবাহিক ভাবে বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে। তাঁর দাবি, দেশের আর্থিক পরিকাঠামোর হাল এখন বেশ ভালো। আর তা এতটাই যে, শেয়ার বাজার থেকে যদি বিদেশি বিনিয়োগ বেরিয়েও যায়, তবুও দেশীয় বাজারের কোনও অসুবিধা হবে না। কারণ, দেশীয় বাজারের বিনিয়োগকারীরা সেই ধাক্কা সামলে নেওয়ার ক্ষমতা ইতিমধ্যেই তৈরি করে ফেলেছেন। এই বিদেশি বিনিয়োগের ব্যাপারে সরকারের কাছে জানতে চেয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। কারণ, সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় আর্থিক পরিস্থিতি তলানিতে ঠেকেছে। বিশেষজ্ঞরা প্রতিবেশী বাংলাদেশকেও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ভারতে বিদেশি বিনিয়োগ কতটা পরিমাণে এসেছে, বিদেশ বিনিয়োগ চলে গেলে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি কীরকম থাকবে, তা-ই সরকারের কাছে জানতে চেয়েছিলেন থারুর। জবাবে সীতারামন জানান, বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ কত, তা ইতিমধ্যেই নির্ধারণ করা হয়েছে। এই বিদেশি বিনিয়োগের মধ্যে যেমন বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তেমন, বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
পাশাপাশি, সীতারামন জানান, আরও বিদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান আসবে। আরও বিভিন্ন বিদেশি বিনিয়োগকারী আসবেন। আবার তাঁরা চলেও যাবেন। তাই তাদের ওপর ভরসা করে থাকলে চলবে না। সেই কথা মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আত্মনির্ভর ভারতের ডাক দিয়েছেন। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন দেশের খুচরো বিনিয়োগকারীরা। তাঁরা নিজেদের ইতিমধ্যে গুছিয়েও নিয়েছেন। আর, সেই কারণেই বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভারতের বাজার ছাড়লেও দেশের আর্থিক পরিস্থিতির বিরাট কোনও হেলদোল হবে না। প্রশ্নোত্তর পর্বে এমনটাই দাবি করেন সীতারামন। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, দেশীয় বাজারের প্রতি খুচরো বিনিয়োগকারীরা বড়সড় আস্থা প্রকাশ করেছেন। তাঁদের বিনিয়োগ ইতিমধ্যে সেকথা প্রমাণ করেছে। সেই কারণে আমাদের উচিত দাঁড়িয়ে এই খুচরো বিনিয়োগকারীদের অভিবাদন জানানো। থারুর পালটা জানান, ইতিমধ্যেই বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভারতের বাজার থেকে ১.১৪ লক্ষ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে। ভারতের বাজারের প্রতি বিদেশের বিনিয়োগকারীদের এই অনাস্থার কারণ কী, তা তিনি জানতে চান। এভাবে ভারতের বাজার থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের চলে যাওয়া রুখতে সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে, সেকথাও তিনি জানতে চান। জবাবে কোনও সদুত্তরই দিতে পারেননি নির্মলা।