‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ টোপ দিয়ে চলছে প্রতারণা

লকডাউনের মধ্যে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ টোপ দিয়ে বাড়ছে প্রতারণা। লিঙ্ক পাঠিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এই অভিযোগে জেরবার রাজ্য পুলিসের সাইবার সেলের অফিসাররা। টোপ গিলে ইতিমধ্যেই অনেকে খুইয়েছেন মোটা টাকা। এই প্রতারণা চক্রে বাইরের রাজ্যের গ্যাংয়ের অস্তিত্ব রয়েছে বলে মনে করছে পুলিস।

May 12, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

লকডাউনের মধ্যে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ টোপ দিয়ে বাড়ছে প্রতারণা। লিঙ্ক পাঠিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এই অভিযোগে জেরবার রাজ্য পুলিসের সাইবার সেলের অফিসাররা। টোপ গিলে ইতিমধ্যেই অনেকে খুইয়েছেন মোটা টাকা। এই প্রতারণা চক্রে বাইরের রাজ্যের গ্যাংয়ের অস্তিত্ব রয়েছে বলে মনে করছে পুলিস।

লকডাউনের কারণে বহুজাতিক সংস্থা থেকে শুরু করে ছোট-বড় সব কোম্পানি কর্মীদের ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ প্রক্রিয়া চালু করেছে। ধীরে ধীরে কর্মীমহলে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই ব্যবস্থা। আবার লকডাউন উঠলে এই কর্মীদের একটা বড় অংশের কাজ হারানোর সম্ভাবনাও দেখা দিতে পারে, যা নিয়ে কমবেশি উদ্বেগও রয়েছে। লকডাউনের এই সুযোগকে কাজে লাগাতে চাইছে সাইবার অপরাধীরা। কীভাবে চলছে লোক ঠকানোর কারবার? তদন্তকারী অফিসারদের তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানির নাম করে ফোন যাচ্ছে আমজনতার কাছে। বলা হচ্ছে, বিভিন্ন কোম্পানিতে নিয়োগ চলছে। ম্যানেজার, এগজিকিউটিভ থেকে শুরু করে একাধিক পদের জন্য অনলাইন ইন্টারভিউ নেওয়া শুরু হয়েছে। বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত পুরুষ বা মহিলা থেকে শুরু করে অবসরপ্রাপ্ত এমনকী গৃহবধূরাও আবেদন করতে পারেন। মাসের শেষে মোটা অঙ্কের রোজকার হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। টাকার লোভে অনেকেই টোপ গিলছেন। আর একবার প্রতারকদের পাল্লায় পড়লে রেহাই নেই।

Corona Virus: Tips On How To Work Efficiently From Home
‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ টোপ দিয়ে চলছে প্রতারণা

সাইবার অপরাধের তদন্তে যুক্ত অফিসারদের কথায়, আগ্রহ দেখানোর সঙ্গে সঙ্গে এই গ্যাংয়ের সদস্যরা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে বলছে। এই টাকা প্রসেসিং ফি বলে নেওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে, পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা পর্যন্ত এই ফি নেওয়া হচ্ছে। ফাঁদে পা দেওয়ার পর সাইবার অপরাধীরা একটি লিঙ্ক পাঠাচ্ছে বা কোনও ওয়েবসাইটে ক্লিক করতে বলছে। তাতে একবার ক্লিক করলেই চাকরির জন্য আবেদনকারী ব্যক্তির যাবতীয় তথ্য প্রতারকদের হাতে চলে যাচ্ছে। সেখান থেকেই জেনে নেওয়া হচ্ছে ব্যাঙ্কের যাবতীয় তথ্য। এরপর ব্যাঙ্ক থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে টাকা। মোবাইলে মেসেজ পেয়ে চমকে উঠছেন আবেদনকারীরা।

‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এর টোপ গিলে ইতিমধ্যে টাকা খুইয়েছেন অনেকেই। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি থেকে শুরু করে বাঁকুড়া, বীরভূম সহ একাধিক জেলা থেকে এই ধরনের ফোন আসছে। প্রতারকদের পাল্লায় পড়েছেন কলকাতা ও শহরতলির বেশ কিছু মানুষও। তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, এই ফোনগুলির বেশিরভাগই আসছে আসানসোল-ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া এলাকা থেকে। ভুয়ো নামে সিম তোলা হয়েছে এবং তা দিয়ে ফোন করে চলছে প্রতারণা ব্যবসা। ভুয়ো কাগজপত্র দিয়ে সিম তোলায় প্রতারকের পরিচয় জানা সমস্যার হয়ে দাঁড়াচ্ছে অফিসারদের। তাঁদের বক্তব্য, এর পিছনে ঝাড়খণ্ডের গ্যাংয়ের হাত রয়েছে। তাদের খোঁজে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen