বাড়ি বসে কাজের আনন্দ উধাও, গভীর সঙ্কটের মুখে দেশের মানবসম্পদ

প্রথম প্রথম নতুন সবকিছুই ভালো লাগে। অতএব, লকডাউনের প্রথমদিকটাও মন্দ কাটছিল না। হোক না ‘ওয়ার্ক ফর্ম হোম’। তাতেই বা কী! ছুটির মেজাজেই চলবে কাজ। অফিসে যাওয়ার তাড়া নেই। ট্রেন-বাসে গুঁতোগুঁতি নেই। মুখোমুখি বসিয়ে বসের বকুনি নেই। রয়েছে শুধু বাড়ির প্রিয় বেডরুম। কিংবা চেয়ার-টেবিল। সেখানে বসেই মুঠোফোন অথবা ল্যাপটপে অফিসের টাস্ক সেরে ফেলা। আর রয়েছে কাজের ফাঁকে পরিবারের সঙ্গে নির্ভেজাল আড্ডা-অবসর!

May 1, 2020 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

প্রথম প্রথম নতুন সবকিছুই ভালো লাগে। অতএব, লকডাউনের প্রথমদিকটাও মন্দ কাটছিল না। হোক না ‘ওয়ার্ক ফর্ম হোম’। তাতেই বা কী! ছুটির মেজাজেই চলবে কাজ। অফিসে যাওয়ার তাড়া নেই। ট্রেন-বাসে গুঁতোগুঁতি নেই। মুখোমুখি বসিয়ে বসের বকুনি নেই। রয়েছে শুধু বাড়ির প্রিয় বেডরুম। কিংবা চেয়ার-টেবিল। সেখানে বসেই মুঠোফোন অথবা ল্যাপটপে অফিসের টাস্ক সেরে ফেলা। আর রয়েছে কাজের ফাঁকে পরিবারের সঙ্গে নির্ভেজাল আড্ডা-অবসর!

কোভিডের দাপট চলছেই। দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে লকডাউন। তালাবন্দির দিন যত গড়াচ্ছে ততই ছন্দ হারাচ্ছে ছুটির আবহে কাজের গতি। বাড়িতে বসে একটানা কাজ আর ভালো লাগছে না। বড্ড বোরিং। ফুরিয়ে আসছে চার দেওয়ালের ভিতর আড্ডার কথাও। বরং বিগড়ে যাচ্ছে মেজাজ। বাড়ছে সাংসারিক অশান্তি। বাড়ছে মানসিক চাপ, উদ্বেগ। গ্রাস করছে অনিদ্রা, অবসাদ। বদহজম, ওজন বৃদ্ধি সহ একাধিক শারীরিক সমস্যায় জর্জরিত হচ্ছেন বাড়িতে কর্মরতরা। 

বাড়ি বসে কাজের আনন্দ উধাও, গভীর সঙ্কটের মুখে দেশের মানবসম্পদ

বিশেষ করে তথ্য-প্রযুক্তি শিল্পের কর্মীদের এখন ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা! অন্যান্য কর্মক্ষেত্রেও কমবেশি একই নালিশ। ‘ওয়ার্ক ফর্ম হোম’-এর ভালো গুণাগুন এখন তাঁদের কাছে অভিশাপ। মুক্তির কোনও টোটকাই আর কাজে আসছে না। কর্মজগতে মানবসম্পদের উপর এ এক গভীর সঙ্কট।

সরকারি হিসেব বলছে, তথ্য-প্রযুক্তি শিল্পক্ষেত্রে কর্মরত মোট কর্মীদের ৯০-৯৫ শতাংশ কর্মী এখন বাড়িতে বসে কাজ করছেন। তাঁদের মতো বহু কর্মীই এখন স্বাস্থ্য ও মানসিক সমস্যার মুখোমুখি। ভালো নেই অন্যান্য শিল্পক্ষেত্রের কর্মীরাও। কারণ, সকলেরই এখন চাকরি হারানোর ভয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen