রাজ্যের পঞ্চায়েতের কাজে উচ্ছ্বসিত বিশ্ব ব্যাঙ্ক

কাজের মূল্যায়নের নিরিখেই ধাপে ধাপে টাকা দেয় বিশ্ব ব্যাঙ্ক। সে ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় আইএসজিপিপি’তে বরাদ্দকৃত টাকা খরচে বাংলা অনেকটা এগিয়ে।

August 11, 2020 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

শুধু পরিকল্পনা নয়, রূপায়ণও হয়। শুধু কথার কথা নয়, বাস্তবে কাজও হয়। আর সেই কাজ করেই বিশ্ব ব্যাঙ্কের বাহবা পেল বাংলা। পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েতের পরিকাঠামো উন্নয়নে রাজ্যের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তারা। বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি কাজ করে এই কৃতিত্ব ছিনিয়ে নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সম্প্রতি, কাজকর্মের অগ্রগতি নিয়ে ভার্চুয়াল পর্যালোচনা করেন বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরা। সেখানেই রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তরের ভূয়সী প্রশংসা করেন তাঁরা। তাতে দৃশ্যতই খুশি পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সোমবার তিনি বলেন, ‘গ্রামীণ এলাকার সামগ্রিক উন্নয়ন এবং পঞ্চায়েত অফিসের পরিকাঠামো উন্নয়নে আমরা অনেকের থেকেই এগিয়ে। আর এটা সম্ভব হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর দূরদর্শিতায়।’

প্রাতিষ্ঠানিক স্বশক্তিকরণ গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মসূচিতে (আইএসজিপিপি) বাংলার এই সাফল্য। বিশ্ব ব্যাঙ্কের আর্থিক সহযোগিতায় কর্মসূচির কাজ চলছে রাজ্যে। আধুনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে পঞ্চায়েতের কাজকর্ম সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আইএসজিপিপি’র সূত্রপাত ২০১০ সালে। প্রথম পর্যায়ের কাজেই উল্লেখযোগ্য সাফল্য আসে। এখন চলছে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ। মেয়াদকাল ২০১৭ সাল থেকে ২০২২। অর্থাৎ পঞ্চবার্ষিকী কর্মসূচি। মোট বরাদ্দ ২ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ টাকা দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। বাকি ৩০ শতাংশের ভাগ রাজ্যের। কাজের মূল্যায়নের নিরিখেই ধাপে ধাপে টাকা দেয় বিশ্ব ব্যাঙ্ক। সে ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় আইএসজিপিপি’তে বরাদ্দকৃত টাকা খরচে বাংলা অনেকটা এগিয়ে। পঞ্চায়েত দপ্তর সূত্রের খবর, চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত মোট বরাদ্দের মধ্যে ৪৫ শতাংশ টাকা খরচ করার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিল বিশ্ব ব্যাঙ্ক। টাকা খরচ করলে মিলবে পরবর্তী পর্যায়ের টাকা। কিন্তু এই সময়সীমার মধ্যে ৬৫ শতাংশ টাকাই খরচ করে নজির গড়েছে রাজ্য।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen