সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার বিশ্ব সূচকে ভারত এখন পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কারও পিছনে

সংবাদপত্রের স্বাধীনতা গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের ভিত্তি।’ সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে ‘মানবাধিকারের প্রাণশক্তি’ বলে অভিহিত করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

May 3, 2023 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আজ ৩ মে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস (World Press Freedom Day)। এই দিবস উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার এক বার্তায় রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের ভিত্তি। কিন্তু বিশ্বের প্রতিটি কোণে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা আক্রমণের মুখে রয়েছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘দিনটি একটি মৌলিক সত্য তুলে ধরে- আমাদের সব স্বাধীনতা নির্ভর করে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের ভিত্তি।’ সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে ‘মানবাধিকারের প্রাণশক্তি’ বলে অভিহিত করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

অন্যদিকে, বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে প্রকাশিত হল সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার বিশ্ব সূচক। তাতে আরও নিচে নেমে গিয়েছে ভারত। ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স’ তথা আরএসএফ প্রকাশিত তালিকায় দেখা যাচ্ছে ১৮০টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১৬১। ২০২১ সালে ভারত ছিল ১৪২ নম্বরে। গত বছর কয়েক ধাপ নেমে পৌঁছেছিল ১৫০-তে। এবার দেখা গেল তালিকায় আরও অনেকটাই নেমে ১৬১-তে পৌঁছে গিয়েছে ভারত।

রিপোর্টে বলা হয়েছে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হিংসা, রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট মিডিয়ার মতো নানা কারণে ভারতের এই পরিস্থিতি। তালিকায় ভারতের থেকে ভাল জায়গায় রয়েছে পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কার মতো প্রতিবেশী দেশও। পাকিস্তান রয়েছে ১৫০ নম্বরে। নেপাল ৯৫-এ। শ্রীলঙ্কা ১৩৫। তবে মায়ানমার ৩ ধাপ নেমে তালিকার আরও তলানিতে নেমে পৌঁছেছে ১৭৩-এ। বাংলাদেশ রয়েছে ১৬৩-তে।

ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বর্তমানে ভারতে ১ লক্ষের বেশি সংবাদপত্র (৩৬ হাজার সাপ্তাহিক সহ) এবং ৩৮০টি টিভি নিউজ চ্যানেল রয়েছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৩ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত দেশে একজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন এবং ১০ জন সাংবাদিক কারাগারে রয়েছেন।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, “ভারতে প্রতি বছর কাজ করতে করতে গড়ে তিন বা চারজন সাংবাদিক নিহত হন, ভারত সংবাদমাধ্যমের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশগুলির মধ্যে একটি।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen