যশের মোকাবিলা করতে হবে আম্পানের মতো, অফিসারদের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

এদিন যশ মোকাবিলায় নবান্ন সভাঘরে একটি বৈঠক হয়।

May 19, 2021 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

এখনও সুন্দরবনে গেলে স্পষ্ট দেখা যায় কী তাণ্ডব চালিয়েছিল আম্পান। সেই ক্ষত শুকোতে না শুকোতেই বাংলার উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ফের ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রূকুটি। ধেয়ে আসছে যশ। ২৬-২৭ মে বাংলায় ল্যান্ডফল হতে পারে এই ঝড়ের। তার আগে কোমর বেঁধে নেমে পড়ল রাজ্য সরকার।

এদিন যশ মোকাবিলায় নবান্ন সভাঘরে একটি বৈঠক হয়। সেখানে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। নবান্নে না এলেও আলাপনবাবুর ফোনে ফোন করে সরকারি অফিসারদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “এই ঝড়টাকেও আম্পানের মতো মোকাবিলা করতে হবে। আপনারা এখন থেকেই তার প্রস্তুতি নিন।”

যে এলাকায় ঝড় আছড়ে পড়তে পারে, সেখানকার বাসিন্দাদের আগে থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আম্পানের আগে থেকে সাইক্লোন শেল্টারগুলিতে উপদ্রুত এলাকার মানুষকে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল প্রশাসন। ফলে জীবনহানি ঠেকানো গিয়েছিল। গতবারই এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বুলবুল থেকে শিক্ষা নিয়েই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এলাকায় এলাকায় মাইকে প্রচার করে মানুষকে সতর্ক করার বিষয়ে জোর দিয়েছেন মমতা। তা ছাড়া মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, তাঁরা যেন ২৩ মে-র আগেই সমুদ্র থেকে ফিরে আসেন। শুকনো খাবার, ওষুধ, ত্রিপল, স্যানিটাইজার ইত্যাদি পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রস্তুত রাখার নির্দেশও দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

গত বছর ২০ মে বাংলায় তাণ্ডব চালিয়েছিল আম্পান। তার কী ভয়াবহ অভিঘাত হয়েছিল তা এখনও টাটকা। উপকূলবর্তী দুই চব্বিশ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর তো বটেই, কলকাতা হাওড়া, হুগলি-সহ দক্ষিণ বঙ্গের একাধিক জেলা লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল।

এই কোভিড পরিস্থিতিতে সাইক্লোন শেল্টারে মানুষকে রাখার ক্ষেত্রেও ঝুঁকি রয়েছে। কারণ দূরত্ব মেনে তাঁদের সেখানে রাখতে হবে। যাতে ঝড় থেকে বাঁচতে গিয়ে কোভিড না গ্রাস করে। তাও প্রশাসনকে ভাবতে হচ্ছে বিশেষ ভাবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen