নথির অভাবে দুশ্চিন্তা, ‘SIR আতঙ্কে’ নোয়াপাড়ায় আত্মঘাতী যুবক

জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম সুমন মজুমদার (৩২), পেশায় টোটোচালক। তিনি গারুলিয়া পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন এবং বৃদ্ধা মায়ের সঙ্গে থাকতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে এক বিএলও কর্মী তাঁদের বাড়িতে এসআইআর-এর ফর্ম দিয়ে যান। কিন্তু মা ও ছেলের কাছে প্রয়োজনীয় নথিপত্র না থাকায় সুমন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। মা দীপা মজুমদার জানান, “গতকাল আমাদের কাছে এসআইআর এর ফর্ম এসেছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় কাগজ আমাদের কাছে নেই। এই বিষয়ে চিন্তিত ছিল সুমন।” এরপর গভীর রাতে ঘর থেকে সুমনের গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
ঘটনার খবর ছড়াতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর দেওয়া হয় নোয়াপাড়া থানায়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে পাঠায় বারাকপুরের বিএনবসু মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক রাকেশচন্দ্র সাধুকা। তিনি মৃতের মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। গারুলিয়া পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপিতা পঙ্কজ দাসও ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন।
রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরুর পর নিমতা, উলুবেড়িয়া, মুর্শিদাবাদ সহ একাধিক জায়গায় এমন মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। রাজনৈতিক মহলে এই বিষয় নিয়ে তীব্র তরজা চলছে। মৃতের পরিবার দাবি করেছে, এসআইআর আতঙ্কেই সুমন আত্মঘাতী হয়েছেন।