SSKM-এ কর্মবিরতির জেরে প্রাণ গেল যুবকের, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ মৃতের মায়ের

কর্মবিরতির জেরে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে বিনা চিকিৎসায় মৃতদের নামের তালিকা।

September 9, 2024 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাঁচতে চেয়েছিল রাজীব। কিন্তু তাঁর আর বাঁচা হল না! ডাক্তারবাবুদের টানা কর্মবিরতির জেরে প্রাণ গেল বছর তেত্রিশের যুবক রাজীব দেবের, অভিযোগ করছেন তাঁর মা সীমা দেব। গত ৫ সেপ্টেম্বর এসএসকেএম হাসপাতালে মারা যান রাজীব। হুগলির রিষড়ার পদ্মপুকুরের বাসিন্দা সীমাদেবী কেঁদেই চলেছেন। সন্তানহারা মা-বাবার হাহাকার গোটা এলাকাজুড়ে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। সীমাদেবী বলে চলেছেন, “ওরা আমার ছেলের ক্যাথিটারটাও খোলেনি…।” সন্তানহারা মাকে দেখে একটাই প্রশ্ন উঠছে, ‘এ কেমন আন্দোলন!’

আরও পড়ুন: কবে উঠবে কর্মবিরতি? প্রশ্ন শহরের সরকারি হাসপাতালে আসা রোগীর পরিজনদের

কর্মবিরতির জেরে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে বিনা চিকিৎসায় মৃতদের নামের তালিকা। পদ্মপুকুরের বাগপাড়ার বাসিন্দা স্বপন ও সীমা দেব। স্বপনবাবু গেঞ্জি কারখানার কর্মী। রাজীব তাঁদের একমাত্র সন্তান। কলেজে প্রথম বর্ষে পড়ার সময় তাঁর কিডনিতে সমস্যা ধরা পড়ে। কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হয়। কিডনি দিয়েছিলেন মা সীমাদেবী। এসএসকেএমেই সফল অস্ত্রোপচার হয়। তারপর থেকে রাজীব ভালো ছিলেন। সম্প্রতি তাঁর নতুন করে সমস্যা দেখা দেয়।

আরও পড়ুন: RG Kar-এ বিনা চিকিৎসায় মৃত যুবকের মা’র প্রশ্ন- ‘ডাক্তাররা কি প্রতিশোধ নিচ্ছে সাধারণ মানুষের উপর?’

২ আগস্ট রাজীবকে এসএসকেএমে ভর্তি করানো হয়। ভর্তির পর থেকে চিকিৎসা চলছিল। স্বাধীনতার দিবসের পরদিন থেকে সব কিছু বদলে গেল। ডাক্তারবাবুরা অনিয়মিত হতে শুরু করলেন। শেষের দিকে কোনও চিকিৎসাই হয়নি। ছেলেকে বাঁচানোর জন্য অসহায় মা যত বার আর্তি জানিয়েছেন, উত্তর মিলেছে— ডাক্তার নেই! স্বপন দেব বলেন, “মায়ের কোল খালি হওয়ার যন্ত্রণা কিন্তু যে আন্দোলন অন্য মায়ের কোলও খালি করে দিতে পারে, সেই আন্দোলনের যুক্তিটা শুধু বুঝতে পারিনি আজও। আমরা এনিয়ে কোথাও কোনও অভিযোগ করিনি। আমাদের অভিযোগ আজকের প্রতিবাদী সমাজের সবার কাছেই।” সন্তানকে একটু একটু করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে দেখেও কিছু করে উঠতে পারেননি তাঁরা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen