প্রথমবার মুখ খুললেন জুবিন গর্গের আপ্তসহায়ক, কী বললেন তিনি?
Authored By:

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১২:১৫: সংগীতশিল্পী জুবিন গর্গের মৃত্যুর ঘটনায় সাক্ষীদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে হাজিরা দিতে বলল সিআইডি। গায়কের মৃত্যুর তদন্তে ইতিমধ্যে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গড়েছে অসম সরকার। বৃহস্পতিবার তারা জুবিনের টিমের ড্রামার শেখরজ্যোতিকে গ্রেপ্তারও করেছে। সিআইডি সূত্রে খবর, তদন্তের জন্য গুয়াহাটিতে শুক্রবার ফের তল্লাশি চালানো হয়েছে। নর্থ ইস্ট ফেস্টিভ্যালের উদ্যোক্তা শ্যামকানু মহন্তর বাড়িতে তল্লাশি চলেছে। এর আগে গর্গের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা ও ড্রামার শেখরজ্যোতি গোস্বামীর বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছিল পুলিশ। সেখান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় শেখরকে। তিনি দীর্ঘদিন ড্রামার হিসেবে জুবিনের ব্যান্ডে বাজাতেন। সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার, মিউজিক প্রোডিউসার, কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবেও কাজ করতেন তিনি। জুবিনের মৃত্যুর পর তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, জুবিন সাঁতার কাটতে গিয়ে আচমকা ডুবে যান। পরে তাঁর মুখ, নাক দিয়ে গাঁজলা বের হতে শুরু করে। তিনি জুবিনের মাথা জল থেকে তুলে ধরেন। সাহায্যের জন্য ডাকেন সকলকে।
অন্যদিকে আপ্তসহায়ক সিদ্ধার্থ শর্মার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। কখনও বলা হচ্ছে, জুবিনের টাকাপয়সার হিসাব নয়ছয় করেছেন তিনি, আবার কারও দাবি, গায়কের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতাও করেছেন। অবশেষে নীরবতা ভেঙে প্রথমবার সবকিছু নিয়ে মুখ খুললেন সিদ্ধার্থ। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে। সেই ঘটনার পরই খোলাচিঠি লেখেন সিদ্ধার্থ শর্মা। চিঠিতে তিনি দাবি করেন, জুবিনের প্রায় ৩৮ হাজার গান বিভিন্ন প্রযোজনা সংস্থা ও সঙ্গীত কোম্পানির হাতে চুক্তির মাধ্যমে বিক্রি হয়েছিল। লেখেন, ‘আমি জুবিনদার জীবনে আসার অনেক আগেই তাঁর প্রায় সব গান তৈরি হয়ে গিয়েছিল। এর মধ্যে বড় বড় হিট গানও রয়েছে। তিনি প্রায়ই আক্ষেপ করতেন যে, গান থেকে প্রযোজকেরা কোটি কোটি টাকা আয় করছেন, অথচ তিনি খুবই সামান্য পারিশ্রমিক পান। সংস্থাগুলির কাছে চাইলে এ তথ্য যাচাই করে নেওয়া যাবে।’
সিদ্ধার্থ আরও জানান, ২০২১ সালে জুবিন নাকি নতুন গানগুলির স্বত্ব নিজের কাছে রাখতে চেয়েছিলেন। সেই ভাবনা থেকেই তৈরি হয় ‘জুবিন গার্গ মিউজিক এলএলপি’। এই সংস্থার ৬০ শতাংশ মালিকানা ছিল জুবিনের। সিদ্ধার্থ বলেন, ‘এই সংস্থা মাসিক কয়েক হাজার টাকা আয় করেছে মাত্র। সবটাই সংস্থার অ্যাকাউন্টে রয়েছে। এক টাকাও আমি ব্যক্তিগতভাবে নিইনি। জুবিনদার পরিবারের প্রাপ্য যাতে সঠিকভাবে তাঁদের হাতে পৌঁছয়, সেটা নিশ্চিত করব। গীতিকার ও সুরকার হিসেবে তিনি যা আয় করতেন, সবই তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে জমা হত। সেই টাকা পুরোপুরি তাঁর স্ত্রী গরিমার হাতে তুলে দেওয়া হবে।’ সমস্ত অভিযোগের জবাবে সিদ্ধার্থ শর্মা স্পষ্ট বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে গুঞ্জন রটানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং দুঃখজনক। বিশেষ তদন্তকারী দলের সঙ্গে আমি পূর্ণ সহযোগিতা করেছি এবং ভবিষ্যতেও করব।’