ফের বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল – বৃষ্টি, হড়পা বান ও ভূমিধসে মৃত অন্তত ১৮ জন, নিখোঁজ বহু

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৯:০০: আবারও পাহাড় কাঁপছে, নদী ফুলে-ফেঁপে উঠছে, আর তারই মাঝে হারিয়ে যাচ্ছে মানুষ। উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) ও হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) ফের মেঘভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বানের দাপটে বিপর্যস্ত জনজীবন।
সোমবার রাত থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিতে আচমকা বেড়ে গিয়েছে তমসা, গঙ্গা, যমুনা-সহ একাধিক নদীর জলস্তর। কোথাও কোথাও দেখা দিয়েছে ভয়াবহ হড়পা বান। প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, দুই রাজ্য মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৮ জন, নিখোঁজ অন্তত ২০ জন। আটকে পড়েছেন কয়েকশো মানুষ, চলছে উদ্ধারকাজ।
দেহরাদূনের (Dehradun) বিকাশনগরে টন্স নদীর (তমসা নদী) হড়পা বানে ভেসে গিয়েছে একটি ট্র্যাক্টর। সেই ট্র্যাক্টরে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের আটজন শ্রমিক। নদীর স্রোতে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয় সকলের। দেহরাদূন-সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ধসে পড়েছে বহু ভবন, রাস্তা, সেতু। বন্ধ হয়ে গিয়েছে স্কুল, কলেজ, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। পৌন্ধার দেবভূমি ইনস্টিটিউটে আটকে পড়েছিলেন প্রায় ৫০০ পড়ুয়া, তাঁদের উদ্ধার করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, দুর্যোগের শেষ এখনও আসেনি। বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত দেহরাদূন, চম্পাবত ও উধম সিংহ নগরে জারি রয়েছে লাল সতর্কতা। উত্তরাখণ্ডের প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধার ও ত্রাণ কাজ। রাজ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৩টি সেতু, ২১টি রাস্তা, ১২টি কৃষিজমি। প্রাথমিক হিসেব বলছে, ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪ কোটি টাকা।
মন্ডী জেলার ব্রাগতা গ্রামে ভূমিধসে বাড়ি ধসে পড়ে প্রাণ হারিয়েছে একই পরিবারের তিনজন, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন এক শিশু ও দুই মহিলা। ধরমপুর বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা বাসগুলো বন্যার জলে ভেসে গিয়েছে খড়কুটোর মতো। চলতি বর্ষায় একাধিকবার এমন দুর্যোগে কাঁপছে হিমাচল। ২০ জুন থেকে এখনও পর্যন্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণ হারিয়েছেন ২৩৬ জন।