ভ্রমণ বিভাগে ফিরে যান

নীল-সবুজের দেশে

December 5, 2019 | 2 min read

জলপাইগুড়ির ওদলাবাড়ি অঞ্চলের ছোট্ট গ্রাম এই গজলডোবা। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ১৮-১৯ কিলোমিটার দূরে। আছে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটক বিভাগের থাকার জায়গা ‘ভোরের আলো’।

পাহাড়ের পাদদেশে এখানে নদী চওড়া ও শান্ত। চারপাশে জঙ্গল। শান্ত, সবুজ, বিস্তৃত এই প্রকৃতির মাঝে শীতের শুরুতেই মধ্য এশিয়া, ইউরোপ ও পৃথিবীর অন্যান্য জায়গা থেকে দল বেঁধে চলে আসে পরিযায়ী পাখির দল। নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত এখানে জলে, ডাঙায়, আকাশে সব জায়গায় পাখি। আর এটাই গজলডোবার আকর্ষণ।

এনজেপি থেকে গাড়ি ভাড়া করে গজলডোবা আসতে লাগে এক ঘণ্টা। তিস্তা ব্যারেজে গাড়ি থেকে নামতেই চোখে পড়ে পাখি। নদীর বুকে ভাসতে ভাসতে পাখিদের ছবি তোলা বিশেষ আকর্ষণ। । কিছু দূর যাওয়ার পরে দেখা মেলে, তিস্তার নীল জল আর সবুজ পাহাড়ের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘা। এমন চমৎকার ল্যান্ডস্কেপ নিতান্তই বিরল।

এক সময়ে নৌকা এসে থামে চরে। সেখানে ঘুরে বেড়ায় রেড নেপড আইবিস, রিভার ল্যাপউইং, লিটল রিংড প্লোভার, নর্দার্ন ল্যাপউইং… আরও কত কী! তার পর বৈকুণ্ঠপুরের জঙ্গল। কথিত আছে, সেখানে নাকি রুক্মিণীকে নিয়ে পালিয়ে এসেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। এই অরণ্যে তাঁরা লুকিয়েছিলেন। এমন প্রকৃতির মাঝে পালিয়ে এসে থাকতে মন্দ লাগবে না!

দেখা মেলে গুজ়্যান্ডার, লিটল ইগ্রেট, কমন শেলডাক, লেসার হুইসলিং ডাক, টাফটেড ডাক, গ্রে হেডেড ল্যাপউইং, লিটল গ্রেব, কমন টিল, পার্পল হেরন-সহ আরও অনেক পাখির। এই সময়টায় স্থানীর পাখিদেরও সংখ্যা বেশি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন