বাঙালির নিজস্ব আগাধা ক্রিস্টি পদ্মাবতী ও তার গোয়েন্দা কৃষ্ণা
মাত্র নবছর বয়েসে বিয়ে হওয়া একজন মেয়ে যে কিনা স্কুলের গন্ডি টুকুও পেরোতে পারল না লিখে ফেলল তিনশো রও বেশি বই। পরবর্তীতে তিনি নবদ্বীপ বিদ্বজনের সরস্বতী পুরস্কার এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের লীলা পুরস্কারে ভূষিত হন। জোড়াসাকোর ঠাকুর বাড়ীর আত্মীয়া পদ্মাবতী নিজের সময়ের এক বিখ্যাত নাম। তৎকালীন বাংলা সাহিত্যে বেশিরভাগ ফিকশন গল্পই তাঁর অবদান।
খ্যাতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে নকল বই হইতে সাবধান গোত্রীয় বিজ্ঞাপন ও তাঁকে পত্রিকায় ছাপাতে হয়। তাঁর বিখ্যাত দুই ফিকশন উপন্যাস প্রহেলিকা এবং কাঞ্চনজঙ্ঘা দেব সাহিত্য কুটির প্রকাশ করে।
গোয়েন্দা কৃষ্ণা চরিত্রটিও পদ্মাবতী দেবীর ই সৃষ্টি।এই সিরিজটি প্রথম ১৯৫২ সালে শুকতারার বৈশাখ সঙ্কলনে প্রকাশ পায়। কৃষ্ণা চরিত্রটি বুদ্ধিমতী, জ্ঞানী, এক কথায় বাঙালি মেয়েদের রোল মডেল।এই চরিত্রটি আসার আগে শুধু মাত্র পুরুষ গোয়েন্দাদেরই রাজত্ব ছিল বাংলা সাহিত্যে। সে হিসেবে দেখতে গেলে পদ্মাবতী দেবী ‘রুল ব্রেকার’।
কিন্ত এই কৃষ্ণা চরিত্রের অনুপ্রেরনা কি? এই চরিত্রটি আসলে পদ্মাবতী দেবীর ই প্রতিবিম্ব ।তিনি এই পুরুষ তান্ত্রিক সমাজকে যেভাবে দেখেছেন তার ই প্রতিচ্ছবি। তিনি কুমারটুলিকা নামের আরেক গোয়েন্দা সিরিজের প্রায় ২০ টি বই লেখেন। যা অতন্ত জনপ্রিয়।সেই বইগুলির ফ্রেশ প্রিন্ট না থাকায় দেব সাহিত্যও কুটির আবার তা ছাপানোর সিদ্ধান্ত নেয়।