বেলেঘাটার গান্ধী ভবন – ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সাক্ষী
বেলেঘাটায় অবস্থিত গান্ধী ভবন এক অনবদ্য ইতিহাসের সাক্ষী। ১৯৪৭ সালের ১২ই আগস্ট, স্বাধীনতার প্রাক্কালে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী এই গান্ধী ভবনে আসেন। ২০০ বছরের পরাধীনতার অবসানের দিন, ১৫ই আগস্ট, যখন দিল্লিতে ক্ষমতা হস্তান্তর হচ্ছে তখন বাংলায় চলছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। সেই সময় এই স্থান থেকেই গান্ধীজি সত্যাগ্রহ করেছিলেন।
পরবর্তীতে আরও একবার এই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করলে ১লা সেপ্টেম্বর গান্ধীজি আমরন অনশন শুরু করেন। সেপ্টেম্বরের ৪ তারিখ যখন এই দাঙ্গাকারীদের নেতারা তাদের সব অস্ত্র-সস্ত্র গান্ধীজির পায়ে সমর্পণ করে, তখন ৭৩ ঘন্টা পর জলপান করে গান্ধীজি অনশন ভাঙেন।
গান্ধীজির সত্যাগ্রহের মত এত গুরুত্বপূর্ণ এক আন্দোলনের ইতিহাস জড়িয়ে আছে এই গান্ধী ভবনের সাথে। ১৯৮৫ সালে এই ভবনটিকে মিউজিয়াম হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সাধারণ মানুষের দর্শনের জন্যে সেখানে রয়েছে গান্ধীজির প্রাত্যহিক ব্যবহারের অনেক সামগ্রী।
কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় নষ্ট হয়ে যেতে চলেছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উদ্যোগে আবার এই ভবন সংস্কার করা হয়। গত বছর ২রা অক্টোবর গান্ধীজির ১৫০তম জন্মদিনে এই স্থাপত্যকে সরকারের উদ্যোগে হেরিটেজ তকমা দেওয়া হয়।