জীবনশৈলী বিভাগে ফিরে যান

ডায়াবিটিসের ‘স্বাস্থ্যকর’ অভ্যাস সত্যিই কি স্বাস্থ্যকর?

February 1, 2020 | < 1 min read

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ছবি সৌজন্যেঃ এই সময়

অনেক ডায়াবেটিস রোগী সমস্ত খাবারের নিয়ন্ত্রণ করেও অনেক সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। দেখে নেওয়া যাক সম্ভাব্য কারণগুলি।

খাবার ছেড়ে ওজন কমানো

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে ঠিকই। কিন্তু, তার মানে এই নয় যে খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দিলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সুষম খাবার এবং শরীরচর্চায় মন দিন। একটা দশ সেন্টিমিটার ব্যাসের থালার অর্ধেক পরিমাণ সবুজ শাকসব্জি, বাকি অর্ধেককে দু’ভাগ করে শর্করা এবং প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া যেতে পারে।

দীর্ঘক্ষণ না খাওয়া বা উপোস

উপোস করে থাকলে ওজন কমবে। এমন ধারণাও ভ্রান্ত। দীর্ঘক্ষণ না খেলে মেটাবলিজমের হার কমে যায়। যার ফলে ওজন কমার বদলে থমকে যেতে, এমনকী বেড়েও যেতে পারে। পাশাপাশি, শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা হঠাৎ বেড়ে এবং কমে যাওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না চিকিৎসকরা।

কৃত্রিম সুইটনারের ব্যবহার

ডায়াবিটিস হলে অনেকেই চিনির বিকল্প হিসেবে কৃত্রিম সুইটনার (যেমন সুগার ফ্রি, স্টিভিয়া) ব্যবহার করতে শুরু করেন মুখ মিষ্টির অভ্যেস বজায় রাখতে। এন্ডোক্রিনোলজিস্টদের মত , ‘আর্টিফিসিয়াল সুইটনার্স মনকে একটা ছদ্ম-নিশ্চয়তা দেয়, যার ফলে মানুষ প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খেয়ে ফেলেন। ধরুন, কেউ পায়েস খাচ্ছেন, সেখানে আর্টিফিসিয়াল সুইটনার ব্যবহার করা হল বলে ডায়াবিটিসে আক্রান্ত এক জন এক বাটির বদলে দু’বাটি খেয়ে ফেললেন। চিনির ক্যালরি বাঁচলেও দুধ আর চালের ক্যালরি তো শরীরে যোগ হলই।’

কার্বোহাইড্রেট ছেঁটে ফেলা

কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা জাতীয় খাবার, যেমন ভাত-রুটি খাওয়া বন্ধ করে দেন অনেক ডায়াবিটিস আক্রান্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেটাও স্বাস্থ্যকর অভ্যেস নয়। কারণ, শরীরে শর্করা জাতীয় খাবারও প্রয়োজন। না হলে হঠাৎ করে সুগার ফল করে যেতে পারে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Health, #Diabetes, #treatment

আরো দেখুন