জলজ গাছ দিয়ে সাজান ঘর
কোনও দামী শো-পিস নয়, নানা ধরনের গাছ দিয়েই সাজানো যেতে পারে ঘর। শুধু শোভা বাড়ানোই নয়, একই সঙ্গে ঘরের পরিবেশকে তরতাজা এবং আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে গাছের জুড়ি নেই।
সারাদিন গরমে বাড়ির বাইরে কাটানোর পরের বিরক্ত ভাবটা কেটে যায় ফ্ল্যাটের দরজা খোলার পরেই। ভিতরে ঢুকতেই মিষ্টি একটা গন্ধ আপনাকে স্বাগত জানাবে। কয়েক মিনিটের মধ্যে আপনার সারাদিনের ক্লান্তি কাটিয়ে দিল যে সুবাস, তার উৎস ড্রয়িংরুমের কোণে রাখা ল্যাভেন্ডার গাছটা।

ইন্ডোর গার্ডেন
জায়গার অভাবে প্রায় প্রত্যেকের জীবনের বৃত্তই যখন ছোট হতে হতে ক্রমশ একটা ফ্ল্যাটের চার দেওয়ালের মধ্যে সীমাবদ্ধ হতে বসেছে, তখন গাছ বা বাগানের শখও যে বদলে যাবে, তাতে আর আশ্চর্য কী? হয়েছেও তাই। ঘরের মধ্যে বা একচিলতে ব্যালকনিতেই যাতে ছোট্ট একটা বাগান করে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো যায়।
দৃষ্টিনন্দন একটা কাঁচের জারের মধ্যে জলে জন্মায় এমন কিছু গাছ করে সেই জার সেন্টার টেবিল, জানলা বা কোণে সাজিয়ে রাখলে একই সঙ্গে ঘরের পরিবেশ এবং সৌন্দর্য দুই-ই ভালো হয় বলে মনে করছেন গাছপ্রেমীরা। ওয়াটার লেটুস, আমব্রেলা পাম, প্যারটস ফেদার, ওয়ান্ডারিং জু ও নানা ধরনের বাঁশগাছের বিক্রী যে ভাবে বাড়ছে, তাতে বেশ বোঝা যায় ‘অ্যাকোয়াটিক প্লান্টের’ জনপ্রিয়তা ঊর্ধমুখী।
থাইল্যান্ড থেকে কলকাতায় ইদানিং প্রচুর অ্যাকোয়াটিক প্লান্ট আসছে। ওয়াটার লেমন গ্রাস আর নানা ধরনের শালুক খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যাঁরা বারান্দায় এই ধরনের বাগান করছেন, তাঁদের দৌলতে পাখির ভিড়ও বাড়ছে ফ্ল্যাটের বারান্দাগুলোয়।