ওয়ার্ক ফ্রম হোমের জন্য বাড়ান নেটের স্পিড
ভারতে করোনাভাইরাসের থেকে বাঁচাতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থায় জরুরি পরিষেবা ছাড়া বাকিদের বাড়ি থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে। বাড়ি থেকে কাজের ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি আধুনিক মানের নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা।
উন্নতমানের ব্রডব্যান্ড কানেকশন থাকলেও বিভিন্ন কারণে স্লো হয়ে যায় ইন্টারনেট কানেকশন। যার জেরে বাধাপ্রাপ্ত হয় বাড়ি থেকে কাজ।
থাকলো পাঁচ উপায়, যার মাধ্যমে WiFi সিগন্যাল উন্নত করা সম্ভব:
১. ফ্রিকোয়েন্সি চেক
বর্তমান সময়ের WiFi-গুলি 2.4GHz এবং 5GHz ফ্রিকোয়েন্সি (frequency) ব্যান্ডে চলে। 5GHz-এর ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডের রিচ (reach) কম হলেও কানেকশনে বাধা (interference) কম হয়। তবে 2.4GHz-এর WiFi কানেকশনে বাধা বেশী হয়। তাই রাউটারকে 5GHz-এ কনভার্ট করার চেষ্টা করুন। এতে ইন্টারনেটের স্পিড যেমন বাড়বে এবং বাধা কম হবে।
২. রাউটারের অবস্থান
কানেকশনে সমস্যা হলে, রাউটারের (router) অবস্থান পরিবর্তন করতে পারেন। রাউটারের অবস্থান পরিবর্তন করলে, অনেক সময়ই তুলনায় ভালো স্পিড পাওয়া সম্ভব। রাউটারকে এমন জায়গায় রাখুন, যেখান দেওয়ালের বাধা কম…বাড়ির হল এর জন্য খুবই ভালো। সেন্ট্রাল পজিশন সব সময়ই ভালো হয়। মনে রাখবেন, রাউটারের আশপাশে মাইক্রোওয়েভ, ওয়ারলেস ক্যামেরা এবং কর্ডলেস টেলিফোন রাখবেন না – এতে সিগন্যালের ক্ষতি হয়।
৩. এক ব্যান্ডউইথে অনেক ডিভাইস কানেকশন নয়
বাড়ি থেকে কাজের সময় অনলাইনে ভিডিয়ো গেম খেলা বা ভিডিয়ো না দেখার চেষ্টা করবেন। একই ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করে একাধিক ডিভাইস কানেক্ট করবেন না। এতে ইন্টারনেটের স্পিড কমে।
৪. হার্ডওয়ার আপগ্রেড
আউটডেটেড হার্ডওয়ারের কারণেও ইন্টারনেট স্পিড স্লো হতে পারে। তাই অবশ্যই আপগ্রেডেড মডেলের রাউটার ব্যবহার করুন। পুরনো রাউটারে ইন্টারনেটে স্পিডও স্লো হতে পারে। চেষ্টা করুন 5GHz-এর রাউটার ব্যবহার করার।
৫. রাউটার রিসেট করুন
যদি ইন্টারনেট সিগন্যাল ও স্পিড নিয়ে সমস্যা থাকে, তবে নিয়মিত রাউটার রিসেট করুন। ওয়ারলেস রাউটারের (Wireless Router) জন্য DD-WRT লিনাক্স (Linus) ভিত্তিক ফার্মওয়ার ব্যবহার করতে পারেন।