কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

সহায়ক যানে প্রবীণদের পাশে বিধাননগর পুলিশ

April 12, 2020 | < 1 min read

সপ্তাহে একবার ডায়ালিসিসের জন্য হাসপাতালে যেতে হয় কেষ্টপুরের বাসিন্দা প্রবীণ মনোজ চক্রবর্তীকে। লকডাউনে যানবাহনের অভাবে দু’সপ্তাহ ধরে যেতে পারছেন না।

গাড়ি আছে, কিন্তু চালক নেই। ফলে, ওষুধ থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছেন সল্টলেকের এডি ব্লকের বাসিন্দা প্রবীণ দেবোময় দত্তও।

করোনা-পরিস্থিতিতে এমনই সমস্যার মুখে বিধাননগর কমিশনারেট এলাকার অনেক প্রবীণ নাগরিকই। তাঁদের সাহায্যে শনিবার ৬টি ‘সহায়ক যান’ চালু করল পুলিশ। ফোন করলেই গাড়ি পৌঁছে যাবে প্রবীণ-প্রবীণাদের দুয়ারে। বিধাননগরের ডেপুটি কমিশনার (ট্র্যাফিক) ধৃতিমান সরকার জানিয়েছেন, বিনামূল্যে এই গাড়ি ব্যবহার করে হাসপাতাল থেকে মুদির দোকান বা ওষুধের দোকানে যেতে পারবেন প্রবীণরা। আপাতত ৬টি গাড়ির ব্যবস্থা হলেও সংখ্যা অচিরেই বাড়বে।

সল্টলেক, নিউ টাউনে বসবাসকারীদের বড় অংশই প্রবীণ। কমিশনারেটের বাকি থানা এলাকাগুলিতেও ৬০ বছরের বেশি বয়স, এমন অনেকে বসবাস করেন। লকডাউনের জেরে চিকিৎসকের কাছে যাওয়াই হোক বা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনা–যানবাহন না-মেলায় অনেকেই সমস্যায় পড়ছেন। তা পুলিশকেও জানিয়েছিলেন অনেক প্রবীণ। সেই সূত্রেই সহায়ক যানের পরিকল্পনা কমিশনারেটের। যা রাজ্যে এই প্রথম বলেই দাবি অনেক পুলিশকর্তার।

কমিশনারেটের তরফে জানানো হয়েছে, যে কোনও সময়ে ফোন করে এই গাড়ি বুক করা যাবে। গাড়ি বাড়িতে পৌঁছে যাবে। করোনার কথা মাথায় রেখে চার সিটের গাড়িতে তিন জনের বেশি থাকতে পারবেন না। নিয়মিত জীবাণুনাশক স্প্রে করা হবে, তাই নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যাবে। প্রতিটি গাড়িতে সংযুক্ত থাকছে জিপিএস। প্রবীণদের নিরাপত্তার কথা ভেবে এবং তাঁদের যাতে কোনও রকম হয়রানি না হয়— তাই এই ব্যবস্থা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #sahayak oldage

আরো দেখুন